নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, আগামী ১ এপ্রিল বেলা ১১টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
এর আগে কোম্পানিটির চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা (লোকসান), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৩৩ পয়সা (লোকসান)। এদিকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। এছাড়া আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রদিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি জানিয়েছিল, কভিড-১৯, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, সমুদ্রগামী জাহাজের উচ্চ পরিবহন খরচ এবং ডলারের বিপরীতে টাকার হারের ওঠানামা প্রভৃতি কারনে কাঁচামাল আমদানি খরচ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। অন্যদিকে বিক্রয় ও নিট মুনাফা হ্রাস পেয়েছে। অথচ এ সময় কোম্পানির সব বেতন ভাতাদি পরিশোধ করার পাশাপাশি ফিক্সড খরচের ব্যয়ভার বহন করলেও উৎপাদন ও বিক্রি কমে গেছে। এর ফলে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আরও কমে গেছে।
সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৯৪ পয়সা (লোকসান)।
কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৪ দশমিক ১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।