নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪ নভেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক এবং ৩০ জুন সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের এ কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪০ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ০৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য ৩০ নভেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান জানিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৮৮ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৯ পয়সা।
এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরেও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৯ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৮২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪৮ পয়সা (ঘাটতি)। সর্বশেষ ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তখন কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ১৪ পয়সা। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর এনএভিপিএস ছিল ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। আর ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৫ টাকা ৯৪ পয়সা।