নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ১২ অক্টোবর বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ২ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় এক টাকা ৯৯ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭ টাকা ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৫ টাকা ৫৭ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৭১ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৪৭ টাকা ৪৬ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ৪৪ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯ টাকা ৯৩ পয়সা (ঘাটতি)।
জ্বালানি খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ডরিন পাওয়ারের রিজার্ভে রয়েছে ৬৪২ কোটি ২১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৮ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯০২ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১৮ শতাংশ নগদ ও ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৩১ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ১৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩২ টাকা ২২ পয়সা (লোকসান)। এর আগের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য ১৩ শতাংশ নগদ এবং সব বিনিয়োগকারীর জন্য ১২ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ সর্বমোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে আট টাকা ৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৪১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির এনওসিএফপিএস হয়েছে ছয় টাকা ৪৬ পয়সা। আর ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে তারা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ছয় টাকা ৮ পয়সা; আর ২০২০ সালের ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৬৮ পয়সা।