নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফিনিক্স ফাইন্যান্সে ঋণখেলাপি ও ১৩টি চেক প্রতারণা মামলার আসামি মেহেরুন নেসা। রোববার রাত ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামির বিরুদ্ধে ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেক প্রতারণার ৯টি মামলা রয়েছে। অর্থঋণ মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পারোয়ানা জারি করেন। ফিনিক্স ফাইন্যান্সের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন জাকির হোসেন রোডের তানভীর হাউজের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ফেরদৌস খান আলমগীরের স্ত্রী ও শাফিয়াল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মেহেরুন নেসা ২০১০ সালে ট্রেডিং ব্যবসায়ের জন্য দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা ঋণ নেন। তিনি বাগদাদ গ্রুপের পরিচালকও। প্রথম দিকে নিয়মিত কয়েকটি কিস্তি পরিশোধ করলেও পরে তিনি অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি কানাডায় পাড়ি জমান বলে জানা গেছে। গত রোববার মধ্যরাতে কানাডা থেকে দেশে আসেন তিনি। এ সময়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গতকাল বিকালে তাকে চট্টগ্রামের খুলশি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে সুদাসলে আসামি মেহেরুন নেসা ও তার প্রতিষ্ঠান শাফিয়াল ট্রেডিংয়ের কাছে ফিনিক্স ফাইন্যান্সের পাওনা পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৭৫ টাকা। এ অর্থের বিপরীতে আদালতে ১৫টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৯টি সিআর মামলায় সাজা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের এফএভিপি ও আগ্রাবাদ শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, গ্রেফতারকৃত মেহেরুন নেসা ট্রেডিং ব্যবসার প্রয়োজনে আমাদের কাছ থেকে ঋণ সুবিধা নেন। পরে ঋণের পাওনা পরিশোধ না করে কানাডায় পালিয়ে যান। পাওনা আদায়ে চেক প্রতারণার ১৩টি মামলা ও অর্থঋণ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার মধ্যে সিআর মামলায় ৯টিতে তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
পলাতক ঋণখেলাপি মেহেরুন নেসা গ্রেফতার
