পল্লি অঞ্চলে খুলতে হবে ৬০ শতাংশ উপশাখা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক সেবার বাইরে থাকা মানুষকে ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে এখন থেকে মোট উপ-শাখার কমপক্ষে ৬০ শতাংশ খুলতে হবে পল্লি অঞ্চলে। এছাড়া ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী শাখা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটার দূরত্বের কোনো উপশাখা করা যাবে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ?‘ব্যাংকের ব্যবসা কেন্দ্র স্থাপন, ভাড়া ও ইজারা সংক্রান্ত নীতিমালা’ শীর্ষক নীতিমালায় এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।

নীতিমালায় বলা হয়, শহর ও পল্লি শাখার সংজ্ঞায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে সিটি করপোরেশন ও ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত পৌরসভা এলাকায় স্থাপিত বা স্থাপিতব্য শাখা ‘শহর শাখা’ এবং অন্যান্য এলাকায় স্থাপিত বা স্থাপিতব্য শাখা ‘পল্লি শাখা’ হিসেবে গণ্য হবে।

এছাড়া কোনো এলাকা নতুনভাবে সিটি করপোরেশন এলাকা হিসেবে ঘোষিত হলে বা বিদ্যমান সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হলে কিংবা বিদ্যমান কোনো ‘খ’ বা ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হলে তদস্থিত ব্যাংক শাখা শহর শাখা হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত এলাকার জনসাধারণের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে মোট উপশাখার কমপক্ষে ৬০ শতাংশ সিটি করপোরেশন ও ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত পৌরসভা এলাকার বাইরে স্থাপন করতে হবে। ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী শাখা থেকে কাছে দূরত্বে (১.০ কিলোমিটারের মধ্যে) উপশাখা স্থাপন করা যাবে না। তাছাড়া বিদ্যমান নীতিমালার অন্যান্য প্রযোজ্য নির্দেশনাবলি অপরিবর্তিত রেখে পরিমার্জন করে উপশাখা স্থাপনের জন্য একীভূত নির্দেশনা প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া ইলেকট্রনিক বুথ স্থাপনের জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা নির্বাহী কমিটির অনুমোদন থাকতে হবে এবং বুথ স্থাপনের ১৫ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ছকে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। গ্রাহকের ব্যবহারের সুবিধা বিবেচনায় প্রতিটি বুথে একক এটিএম বা সিডিএম স্থাপনের জন্য সর্বোচ্চ ১০০ বর্গফুট পরিসর এবং একাধিক এটিএম, সিডিএম স্থাপনের জন্য আনুপাতিক হারে স্পেস ভাড়া গ্রহণ করা যাবে। সব বুথ স্থাপনে ব্যয় ও ভাড়া সংক্রান্ত ব্যয়ের ক্ষেত্রে শাখার জন্য প্রযোজ্য নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

নতুন নীতিমালয় আরও বলা হয়, এখন থেকে কোনো ধরনের স্থাপনা ভাড়া নেয়ার সময় অগ্রিম বাবদ ভাড়া চুক্তির মেয়াদ ৪ বছর পর্যন্ত হলে সর্বোচ্চ ১২ মাসের ভাড়া, ৪ বছরের বেশি কিন্তু ৯ বছরের কম হলে সর্বোচ্চ ২৪ মাসের ভাড়া এবং ৯ বছর বা তদূর্ধ্বে হলে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের ভাড়ার সমপরিমাণ অগ্রিম দেয়া যাবে। নির্ধারিত মেয়াদে ন্যূনতম ৩ বছর অন্তর মূল ভাড়ার ১৫ শতাংশের বেশি ভাড়া বাড়াতে পারবে না।

বাজার দর বিবেচনায় প্রতি বর্গফুটের জন্য ব্যয়সীমা সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা এবং বিদ্যমান ব্যবসা কেন্দ্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটের জন্য সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা যাবে। আইটি সরঞ্জাম ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ব্যয়ও যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে থাকতে হবে। এতদিন এই ব্যয়সীমা ছিল প্রতি বর্গফুটে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৫০ টাকা ও ১ হাজার ২৫০ টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০