পশুখাদ্য উৎপাদন শিল্প থেকে কম মুনাফার পরামর্শ শিল্পমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) বিবেচনায় পশুখাদ্য উৎপাদন শিল্পের বিনিয়োগ থেকে কম মুনাফা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, ভোক্তাসাধারণের জন্য মানসম্মত ও নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশে আমদানি-বিকল্প এগ্রোফিড উৎপাদনে এগিয়ে এলে উদ্যোক্তাদের সব ধরনের নীতিসহায়তা দেওয়া হবে।

গতকাল ‘মানসম্মত পশুখাদ্যের জন্য গুণগত মানের উপাদান’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে শিল্পমন্ত্রী পশুখাদ্যসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের এ পরামর্শ দেন। রাজধানীর একটি হোটেলে মেঘনা সিড ক্রাশিং মিল লিমিটেড এ সিম্পোজিয়াম আয়োজন করে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের পশুবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ড. রাহুল কুলকার্ণি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল জব্বার সিকদার, সাভার ডেইরি ফার্মের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহেব আলী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাস, মেঘনা গ্রুপের পরিচালক তাহমিনা মোস্তফা ও মহাব্যবস্থাপক ইমদাদুল হক আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে র‌্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভালো পুষ্টিমানের খাবারের চাহিদা বাড়ছে। এর ফলে কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তৈরি পোশাকের পর শতভাগ দেশীয় কাঁচামালনির্ভর চামড়াশিল্প বিশাল সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ খাতে রপ্তানি বাড়াতে দেশেই বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ জোরদার করতে হবে। তিনি বর্তমান সরকারকে শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব উল্লেখ করে দেশের সম্ভাবনাময় শিল্প খাতগুলোতে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন উদ্যোক্তাদের।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ দুধ, মাংস, ডিমসহ আমিষজাতীয় খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে চাহিদার অতিরিক্ত মাছ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে এবং মাংস উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে। গত ঈদুল আজহায় এক কোটি আট লাখ পশুর চাহিদার থাকলেও এক কোটি ১৮ লাখ দেশীয় পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। আগামী দুই বছরের মধ্যে এদেশে গাভী পরিচর্যায় বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভালো পশুখাদ্য তৈরির জন্য ভালো উপাদান জরুরি। ফসফোলিপিড ও কলিনসমৃদ্ধ পশুখাদ্য প্রাণিসম্পদের দ্রুত ও নিরাপদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবেও প্রাণিসম্পদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার জোরদারে বিশেষ অবদান রাখে। এ বিবেচনায় বিশ্বমানের প্রযুক্তিতে দেশে উৎপাদিত এগ্রোফিড ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এর ফলে একই সঙ্গে কৃষি উৎপাদনে অর্থ সাশ্রয় এবং ভোক্তাসাধারণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে তারা মন্তব্য করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০