পশুর নদে ৯৫০ টন কয়লা নিয়ে জাহাজডুবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। গতকাল শনিবার পশুর নদের চরকানা এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ‘এমভি ইশরা মাহমুদ’ নামের জাহাজটির ১১ নাবিক সাঁতরে তীরে উঠে রক্ষা পান।

বন্দরের ৬ নম্বর মুরিং বয়ায় অবস্থান করা মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী মার্চেন্ট শিপ ‘এমভি পারাস’ থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ায় যাচ্ছিল ‘এমভি ইশরা মাহমুদ’।

জাহাজের মাস্টার কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কয়লা বোঝাই করে যশোরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। কিন্তু পশুর নদের বানিশান্তা বাজার বয়ার কাছে জাহাজের তলা ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করে।

সেখান থেকে চরকানা এলাকায় যেতেই জাহাজ ডুবতে থাকে। এ সময় জাহাজে থাকা ১১ নাবিক সাঁতরে তীরে ওঠেন। পরে জাহাজ থেকে কয়লা সরিয়ে একটি বার্জে রাখতে শুরু করে মালিকপক্ষ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ‘কয়লা নিয়ে জাহাজটি ডুবে গেলেও বন্দরের নৌ-চ্যানেল ঝুঁকিমুক্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।’

এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর ৮০০ টন কয়লা নিয়ে পশুর নদে ডুবে যায় একটি কার্গো জাহাজ। আর ১৬ অক্টোবর ক্লিংকার নিয়ে ওই নদের চার নম্বর বয়া এলাকায় ডুবে যায় আনমনা-২ নামে একটি জাহাজ। একই এলাকায় ২০২২ সালের ৫ মার্চ ৬০০ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় এমভি নওমী নামের একটি কার্গো জাহাজ। ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৭০০ টন কয়লা নিয়ে ‘এমভি বিবি-১১৪৮’ ডুবে যায় নদের বানিশান্তা এলাকায়। একই বছরের ৫ মার্চ ৫০০ টন কয়লা নিয়ে ক্রিক বয়ায় ডুবে যায় ‘ইফসিয়া মাহী’ নামের একটি কার্গো জাহাজ।

৮ অক্টোবর নদের চিলা এলাকায় ড্যাপ সার নিয়ে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ ‘এমভি দেশবন্ধু’। ১৫ নভেম্বর ‘এমভি ফারদিন-১’ ডুবে যায় ৬০০ টন কয়লা নিয়ে।

২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল ৭৭৫ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় ‘এমভি বিলাস’। তার আগে ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি ৭০০ টন কয়লা নিয়ে ‘এমভি আইজগাতি’ কার্গো ডুবে যায় মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায়।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০