মুসলমান হিসেবে আমাদের ধর্মবিশ্বাস এই, আল্লাহ মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। সব ইবাদতের মধ্যে একটি হলো নামাজ। নামাজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। ইসলাম ধর্মগ্রন্থের আলোকে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, পরজগতের জান্নাতের চাবি হলো নামাজ। নামাজবিহীন কোনো আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ মুসলমানের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ ৯০ শতাংশ মুসলমানের একটি দেশ। এই দেশ স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। এই ৫০ বছরে বাংলাদেশে বিদ্যুতের অবস্থান শূন্য থেকে শতভাগে পৌঁছে গেছে। বিদ্যুতের এই উন্নতিতে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অবদান অনস্বীকার্য। প্রযুক্তির এ সম্রাজ্যে একটি দেশের উন্নয়নের প্রধান শর্ত শতভাগ বিদ্যুৎ। এই বিদ্যুতের দিকে প্রধানমন্ত্রীর তীক্ষè নজরের কারণে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। তবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ খাতে সাফল্য থাকলেও মুসলিমদের ধর্মীয় ইবাদত বন্দেগি পালনের নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের সেবায় পূর্ণতা পায়নি। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় নির্ধারিত। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। অথচ ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে আজানের সময় বিদ্যুৎ থাকে না, নামাজের সময় বিদ্যুৎ থাকে না। নামাজের সময়ে যেভাবে বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়া হয়, তাতে মনে হয় বিদ্যুৎ বিভাগে কোনো মুসলমান নেই। রমজান মাসে ইফতারের সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না, তারাবির সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। আমরা গ্রামে বসবাস করি বলেই ভেবে নেই গ্রামের বিদ্যুৎ এরকমই। কিন্তু ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বগুড়া, রংপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল, সবখানের চিত্র একই। নামাজের সময় বিদ্যুৎ থাকে না, রমজানেও বিদ্যুতের বেহাল; তাহলে বিদ্যুৎটা থাকে কোথায়? বিদ্যুতের এই অবস্থায় কেটে যাচ্ছে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এমনকি যুগের পর যুগ। ধর্মীয় বন্দেগি পালনের নির্দিষ্ট সময়গুলোয় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নামাজের সময়গুলো খেয়াল করে লোডশেডিংয়ের ব্যবস্থা করলে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের ইবাদত পালনে শান্তি ফিরে আসবে। তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্দিষ্ট সময়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করছি।
আজিনুর রহমান
সহকারী শিক্ষক
আকাশকুড়ি মুন্সিপাড়া দাখিল মাদরাসা, ডিমলা, নীলফামারী
