মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: কয়েকদিন বিরতি দিয়ে গতকাল আবার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমতে দেখা যায় ৫১ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান হয় চার হাজার ৯৪৬ পয়েন্টে। তবে বিষয়টিকে পতন না বলে বড় ধরনের দর সংশোধন বলে অ্যাখায়িত করেছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সকাল থেকেই বিক্রয় চাপ ছিল বেশি।যে কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। এরই জের ধরে দিন শেষে পাঁচটি খাতের শেয়ারের শতভাগ দাম কমে। খাতগুলো হলো আইটি, টেলিকমিউশন, সিমেন্ট, পাট ও পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাত।
এদিকে পতনের বাজারেও গতকাল আগের দিনের মতো আধিপত্য বজায় রাখে বিমা খাত। এ খাতের দর বেড়েছে ৬৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৩১ কোম্পানির। কমেছে ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ১৫ কোম্পানির। অপরিবর্তিত ছিল ২ দশমিক ১৩ শতাংশ বা ১ কোম্পানির। মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান ছিল ৩৮ শতাংশের বেশি। সেই তুলনায় ছিল না অন্য খাতের শেয়ার চাহিদা। গতকাল বিমা ছাড়া মোট লেনদেনে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে তিনটি খাত। এগুলো হচ্ছেÑপ্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাত।
এর মধ্যে মোট লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাতের অংশগ্রহণ ছিল ১২ দশমিক ২২ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনে বস্ত্র খাতের ১১ দশমিক ৪৩ এবং প্রকৌশল খাতের অবদান ছিল ১০ শতাংশের কিছু বেশি।
এদিকে বিক্রয় চাপ বেশি থাকার কারণে গতকাল লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। গতকাল ডিএসইতে মোট ৯৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্লক মার্কেটে।
কোম্পানিগুলোর ৪৮ লাখ ৬১ হাজার ৩২২টি শেয়ার ১১৫ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকার শেয়ার
লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকার বেক্সিমকো ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বার্জার পেইন্টসের।