নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে বর্তমানে ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে। আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে আমরা দারিদ্র্য ১০ শতাংশে নিয়ে আসতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান। তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বই দিচ্ছি, তাদের দুপুরে টিফিনের ব্যবস্থা করেছি। এগুলো অর্থনীতিতে ভালো প্রভাব ফেলছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চায়না স্কিল রোড ফোরাম আয়োজিত ‘শাসন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও ক্ষমতার ধারণা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দারিদ্র্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি উন্নয়নের সুফল গ্রামেও পৌঁছে দিচ্ছেন। গ্রাম ও শহরের বৈষম্য চিরায়ত। গ্রামের উন্নয়নের দিকে সরকারের নজর আছে। এজন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আর আমাদের প্রধান সমস্যা দারিদ্র্য, তাই সেটা মোকাবিলা করতে আমরা কাজ করছি, যোগ করেন মন্ত্রী।
সেমিনারে সিপিসি ও চীন সরকারের প্রচেষ্টার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। চীনো বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদের লেখা এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের একটি বক্তব্য অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়।
সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, আপনারা যদি চীনের উন্নয়নের দিকে লক্ষ করেন তাহলে চারটি দিক পাবেন। প্রথমত, লিডারশিপ বা নেতৃত্ব। কমিউনিস্ট পার্টি চীনের (সিপিসি) নেতৃত্বে আজ আমরা এ অবস্থানে এসেছি। দ্বিতীয়ত, জনগণের প্রতি সরকারের গুরুত্ব। জনগণ একটি জাতির মেরুদণ্ড। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা আমাদের সর্বোচ্চ এজেন্ডা, যা আমরা করে আসছি। তৃতীয়ত, প্রশাসনে দুর্নীতি বা স্বচ্ছতার অভাব। চতুর্থ দিক হচ্ছে, একে অপরের প্রতি সহযোগিতা। আমরা নিজেরা নিজেদের প্রতি যেমন সহায়ক, তেমনি বহির্বিশ্বের প্রতিও আমরা আমাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছি। এ বন্ধন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে আশা করি।
কলামিস্ট সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, কনফুসিয়াসের সময় থেকেই চীন বিশ্বের কাছে বিশাল বিস্ময়। তবে চীন কখনও বসে থাকেনি। নিজেদের শাসনব্যবস্থাকে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা জ্ঞানী জাতি। তাদের জ্ঞান পৃথিবী গ্রহণ করেছে। তাদের কাছ থেকে আমরা কীভাবে শিখতে পারি সেটি ভাবতে হবে।