Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 6:25 pm

পাঁচ বছরে প্রথম অস্ট্রেলিয়ার প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি

 

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: টানা প্রবৃদ্ধির পর সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি দশমিক পাঁচ শতাংশ কমেছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটির প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি দেখা গেছে। ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও সরকারের ব্যয় কমে যাওয়ায় ওই সময় প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর বিবিসি।

অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকের (এবিএস) তথ্যমতে, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এক দশমিক আট শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি দশমিক পাঁচ শতাংশ কম। ২০১১ সালের প্রথম দিকের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার প্রবৃদ্ধি কমলো। বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের তুলনায় প্রবৃদ্ধির এ হার অনেক কম ছিল।

বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার খনিজসম্পদ ও পণ্যের উচ্চ চাহিদার কারণে গত ২৫ বছর দেশটি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছিল।

প্রবৃদ্ধি হ্রাসের এ খবরে অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মান কিছুটা কমে দশমিক ৭৪২০ ডলারে নেমে এসেছে।

সবশেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কমলেও দেশটির বিশেষজ্ঞরা প্রত্যাশা করছেন এটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগামী প্রান্তিকেই প্রবৃদ্ধির হার ঘুরে দাঁড়াবে।

ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ টাপাস স্ট্রিকল্যান্ড বলেন, আগামী প্রান্তিকে আমরা এ ধরনের বড় প্রবৃদ্ধি পতন প্রত্যাশা করি না। অবশ্যই মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ঘুরে দাঁড়াবে। সুতরাং মন্দা হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই। এটি আগামী বছর সুদের হার কমানোর একটি বার্তা দিচ্ছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া সুদের হার কমিয়ে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ করেছে।

সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে নির্মাণ শিল্পের প্রবৃদ্ধি হ্রাস অর্থনীতি সংকোচনে প্রভাব ফেলেছে।

এবিএসের তথ্যমতে, ভবন তৈরির কার্যক্রম কমে যাওয়ায় নির্মাণ শিল্পে প্রবৃদ্ধি তিন দশমিক ছয় শতাংশ কমে গেছে, যা তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে পতনে বড় ভূমিকা পালন করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার ট্রেজারার স্কট মরিশন বলেন, আশা করা হচ্ছে আগামী প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়াবে। তবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে দেশটির অর্থনৈতিক নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মরিশন বলেন, বর্তমানে বিনিয়োগ নিয়ে চ্যালেঞ্জে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায়ও বিনিয়োগ এত চাপে পড়েনি। তিনি বলেন, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ নির্মাণ খাত এবং ব্যবসার প্রবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান উৎস। এর অংশ হিসেবে আমরা কর কমানো ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ কিছু প্রকল্প নিতে যাচ্ছি, যাতে করে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীয়া আকৃষ্ট হয়।