শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রধান অং সান সু চি-কে পাঁচটি মামলায় ক্ষমা করেছে দেশটির জান্তা সরকার। তবে এতে বন্দিদশা থেকে তার মুক্তি মিলছে না। খবর: সিএনএন।
অং সান সু চিসহ সাত হাজার বন্দিকে বিভিন্ন মামলায় গতকাল মঙ্গলবার ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অং সান সু চি-কে সংশ্লিষ্ট আদালত সাজা দিলেও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তাকে ক্ষমা করা দিয়েছেন।
সু চি যেসব মামলায় সাজা পেয়েছেন তার মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে তার সাজা মওকুফ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও ১৪টি মামলা রয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। সু চি-কে এখনও বন্দি থাকতে হবে।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে জান্তা। এর পর থেকে বন্দি রয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নেত্রী। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কয়েক দশক ধরে তিনি আন্দোলন করেছেন। রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময়ই তাকে বিভিন্ন সেনা সরকারের অধীন বন্দিদশায় কাটাতে হয়েছে।
দুর্নীতি, বেআইনিভাবে ওয়াকি-টকি ব্যবহার, কভিড-১৯ আইন ভঙ্গ করাসহ বিভিন্ন মামলায় সু চি-কে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে মামলাগুলো সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালে দেশটির ৪৯ বছরের সেনাশাসনের অবসান হয়। এরপর ওই বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাধীন দল নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়ে সরকার গঠন করে।
৭৮ বছর বয়সি সু চি-কে গত শুক্রবার জেল থেকে স্থানান্তর করা হয়। রাজধানী নেপিডোয় গৃহবন্দি অবস্থায় তাকে রাখা হয়েছে বলে গণমাধ্যম জানিয়েছে।
আগামী সপ্তাহে থেকে যাওয়া ধর্মীয় উৎসবের অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে বন্দিদের ক্ষমা ঘোষণা করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টও এবারের ঘোষিত ক্ষমার আওতায় রয়েছেন।