নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় পাঁচ মাস স্থিতিশীল থাকার পর ডলারের বিপরীতে আরও কিছুটা দুর্বল হয়েছে টাকা। দেশের ব্যাংকগুলোতে এখন নগদ ইউএস ডলারের দর প্রায় ৮৭ টাকায় উঠেছে। আমদানি পর্যায়ে ডলারের দর উঠেছে সর্বোচ্চ ৮৪ টাকা ৭৫ পয়সায়।
গতকাল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে আন্তঃব্যাংক ডলারের দর ৮৪ দশমিক ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৪ দশমিক ৬৫ টাকা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আমদানি পর্যায়ে ডলারের দর আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, প্রায় পাঁচ মাস পর আন্তঃব্যাংক ডলারের দরে পরিবর্তন আনল বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ গত ৬ মে আন্তঃব্যাংক ডলারের দর বেড়ে ৮৪ দশমিক ৫০ টাকা হয়। সেই থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডলারের দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল আন্তঃব্যাংক ডলারের দর ১৫ পয়সা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বেশ কিছু বড় আমদানি দায় পরিশোধের সময় হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনরর্থায়ন সুবিধার আওতায় যেসব প্রকল্পে অর্থায়নের আশা করা হচ্ছিল সেগুলোরও কিছু কিছু অর্থায়নের অনুমোদনের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক নাকচ করে দেওয়ায় স্থানীয় মার্কেটে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদন সাপেক্ষে যেসব বিদেশি ঋণ পাওয়া যায়, সেসব ঋণের বেশ কিছু ঋণ সময়মতো না আসায় স্থানীয় বাজারে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে।
নগদ ডলারের দর-সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, গত ২ অক্টোবর সোস্যাল ইসলামী ও বেসিক ব্যাংক নগদ ডলারের দর উল্লেখ করেছে ৮৭ টাকা। তবে ওই দিন কোনো কোনো ব্যাংক নগদ ডলারের দর উল্লেখ করে ৮৫ টাকা। অধিকাংশ ব্যাংক ৮৬ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি করে। সাধারণত বিদেশভ্রমণের জন্য নগদ ডলার প্রয়োজন হয়। ফলে এ মুহূর্তে যারা ভ্রমণ করতে বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের ডলার কিনতে হচ্ছে ৮৭ টাকা দরে।
একই দিন আমদানি পর্যায়ে ডলারের দর সর্বোচ্চ ছিল সীমান্ত ব্যাংকে। ওই ব্যাংকটি আমদানি পর্যায়ে ডলারের দর উল্লেখ করে ৮৪ দশমিক ৭৫ টাকা। ওইদিন দেশি-বিদেশি খাতের বেশিরভাগ ব্যাংক আমদানি পর্যায়ে ডলারের দর রেখেছে ৮৪ দশমিক ৫০ টাকা।
জানা গেছে, ডলারের চাহিদা তেমন না থাকায় চলতি অর্থবছরে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তেমন একটা ডলার সরবরাহ করতে হয়নি। বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ২৩৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পাঁচ মাস পর দর বাড়ল ডলারের
