নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে ফোরজি সেবার বিপরীতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আদায়ে জটিলতার অবসান হচ্ছে। এ বিষয়ে আদেশ জারির উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। থ্রিজির ক্ষেত্রেও বিশেষ আদেশ জারি করে ভ্যাট আদায় করা হয়েছিল। ফোরজি সেবার ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ফোরজির নিলাম হয়। তার আগে ভ্যাট আদায়ের বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে সম্প্রতি এনবিআরে চিঠি দেয় বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ, ভ্যাট)। ওই চিঠিতে ১২ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিল এলটিইউ। ফোরজির লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম ফির ওপর ১২ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ করা হলে ১৫০ কোটি টাকার ভ্যাট পাওয়া যাবে বলে এলটিইউ জানিয়েছিল। পরে এ বিষয়ে প্রস্তাব চূড়ান্ত করে অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল এনবিআর। তাতে ১০ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয় পাঁচ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে এনবিআর আদেশ জারি করতে পারে।
এলটিইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান ভ্যাট আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ফির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য, কিন্তু তা রেয়াতযোগ্য। ফলে নিট ভ্যাট শূন্য হয়ে যায়। তাই ভ্যাট হার নির্ধারণের আদেশ জারি না করলে এখান থেকে সরকার রাজস্ব হারাবে। এর আগে একই ধরনের আইনি জটিলতার কারণে টুজি লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলাম এবং রবি ও এয়ারটেলের একীভূতকরণ ফি বাবদ ২৬০ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হয়নি এখনও।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এলটিইউয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে সব উদ্যোগ সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশ জারি করেই ভ্যাট আদায় করা হবে। তবে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা হলে ২৬০ কোটি টাকার মতো রাজস্ব আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।