ক্রীড়া ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা পাঁচ হারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। এ অবস্থা থেকে বের হতে দলটির প্রয়োজন ছিল একটি জয়। গতকাল সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রস টেইলরের সেঞ্চুরি, হেনরি নিকলস ও টম লাথামের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে সেটা তারা পেয়েছে। এর ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
হ্যামিল্টনে গত ম্যাচে টস জিতে আগে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে নিউজিল্যান্ড জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা পেয়েছিল ৩৪৮ রানের। পরে অবশ্য ১১ বল হাতে রেখে ছয় উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়। ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ মাঠেই ৩৪৬ টপকে জয় ছিল আগের রেকর্ড। দলটির হয়ে ৮৪ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন রস টেইলর। এদিকে হেনরি নিকলস ৭৮ ও টম লাথাম ৪৮ বলে করেন ৬৯ রান।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় হেনরি নিকলস ও মার্টিন গাপটিলের সৌজন্যে ১৫.৪ ওভারে ৮৫ রানের ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর ৩২ রানে শার্দুল ঠাকুরের বলে সীমানায় কেদার যাদবের হাতে ধরা পড়ে ফেরেন গাপটিল। বেশিক্ষণ টেকেননি অভিষিক্ত টম বান্ডেল। তবে ম্যাচের গতিপথ ঠিক করে দেন নিকলস ও টেইলর। তৃতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৬২ রানের জুটি। এরপরই নিকলস ৮২ বলে ১১ চারে ৭৮ রানে দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হয়ে ফেরেন। পরে এক প্রান্ত আগলে ছিলেন টেইলর। অন্যদিকে ঝড় তোলেন টম লাথাম। চতুর্থ উইকেটে এ জুটি গড়েন ১২৮ রানের জুটি। এর মধ্যে লাথাম করেন ৪৮ বলে আট চার ও দুই ছয়ে ৬৯ রান। এরপর কুলদীপ যাদবের শিকার হয়ে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত টেইলর ১০ চার ও চার ছয়ে ৮৪ বলে ১০৯ রান করে নিউজিল্যান্ডেকে জিতিয়েই ফেরেন।
এর আগে পৃত্থিশ ও মায়াস্ক আগারওয়ালের ব্যাটে আট ওভারে ৫০ রান তুলেছিল ভারত। তবে তারা দ্রুতই ফিরে যান। পরে বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১০২ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ছয় চারে ৫১ রান করে কোহলি ফিরে যান। তবে শ্রেয়াস আইয়ারের সময়োপযোগী ব্যাটিং ও লোকেশ রাহুলের ঝড়ে দুর্দান্ত গতিতে রান তুলছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত তিনি ফেরেন সাউদির বলে স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আইয়ার সেঞ্চুরি তুলেই ফিরে যান। শেষদিকে রাহুল (৬৪ বলে ৩ চার ছয়টি ছয়ে ৮৮*) ও কেদার যাদবের ঝড়ে ১৫ বলে ৩ চার ও এক ছয়ে ২৬*) ঝড়ে বিশাল স্কোর দাঁড় করায় ভারত। তবে রস টেইলরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সুবাদে ওই রানও সফরকারীদের জেতাতে পারেনি।
দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচসেরা হন রস টেইলর।