শেখ আবু তালেব: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শতকোটি টাকার এফডিআরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অর্থ ফেরত দিচ্ছে না ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। এখন অর্থ ফেরত পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি)। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য।
এমনকি অর্থ ফেরত পেতে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের কাছে এ বিষয়ে ২০ বার চিঠি দিলেও কোনো সমাধান হয়নি অর্থ ফেরত পাওয়ার। অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে এখন কোনো কথাই বলছে না ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। এত বড় অঙ্কের অর্থ ফেরতের অনিশ্চয়তা জেঁকে বসেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোকে।
জানা গেছে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপান্ট ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) ১০২ কোটি টাকার আমানত এফডিআর হিসেবে জমা রাখে ইউনিয়ন ক্যাপিটালে। কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও এফডিআরের অর্থ দিচ্ছে না ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। অর্থ ফেরত চেয়ে চিঠি দেয় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। কোনো সাড়া না পেয়ে একে একে ২০ বার চিঠি চালাচালি করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ একটি সমঝতোয় উপনীত হয়। করোনাকালে অর্থ সংকট থাকার কথা বলে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। এজন্য ধীরে ধীরে সব অর্থ ফেরত দেয়ার কথায় সমঝোতা হয়। এতে গত মার্চ পর্যন্ত ২০ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমঝোতা অনুযায়ী অর্থ ফেরত দেয়নি ইউননিয়ন ক্যাপিটাল।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো অভিযোগ করেছে, অর্থ ফেরত দিচ্ছে না ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। উল্টো আমানতের সুদহার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। এ বিষয়েও কোনো আলোচনা করেনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি কবে নাগাদ অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে, এ বিষয়েও কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। কোম্পানির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোনো প্রত্যুত্তর দিচ্ছে না তারা।
দুটি প্রতিষ্ঠানই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে হস্তক্ষেপ চেয়েও চিঠি দিয়েছে বিএটিবিসি। এ বিষয়ে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর কোম্পানি সচিব মো. আজিজুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, কোম্পানির ট্রাস্টি বোর্ড আস্থা রেখে ইউনিয়ন ক্যাপিটালে আমানত জমা রেখেছিল। এটি শ্রমিকদের অর্থ, কিন্তু এখন অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না।
বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় ইউনিয়ন ক্যাপিটালের কোম্পানি সচিব তৌহিদুল আশরাফের সঙ্গে। বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বলে উল্লেখ করে কথা বলতে চাননি তিনি। আবার যোগাযোগ করা হলে প্রশ্ন শুনে লিখিত আকারে কোম্পানি বরাবর পাঠাতে বলেন।
