নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: অবসরের পর সারা জীবনের সঞ্চিত প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, ল্যাম্প এনক্যাশমেন্ট ও ছুটি নগদকরণের টাকাসহ অন্যান্য পাওনা পাঁচ বছরেও পাননি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের অবসরপ্রাপ্ত ৯৯২ কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারী। পাওনা আদায়ে গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে পাটকল অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা
সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে তারা মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে সমন্বয় পরিষদের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলে ২০১৩ সালের ১ জুলাই হতে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত ৯৯২ জন শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা ৩৫ থেকে ৪০ বছর চাকরি শেষ করে অবসর গ্রহণ করেন। এর মধ্যে আমিন জুট মিলের ৩৬১, হাফিজ জুট মিলের ৩৫৬, গুল আহম্মদ জুট মিলের ১৬৮, বাগদাদ-ঢাকা কার্পেট ফ্যাক্টরির ২২, গালফ্রা হাবিব লিমিটেডের ৪০, আরআর জুট মিলের ১২, এমএম জুটমিলের ১৫, মিল ফারনিশিংয়ের পাঁচ এবং কেএফডি’র ১৩ শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা রয়েছেন।
তারা বলেন, শ্রম আইন মোতাবেক অবসর গ্রহণের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সব আইনগত পাওনা পরিশোধ করার বিধান রয়েছে। তাছাড়া হাইকোর্ট দ্রুততার সঙ্গে এসব পাওনাদি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। কিন্তু এ বিষয়ে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর সংস্থার চেয়ারম্যান ও চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বরাবর গ্র্যাচুইটি, পিএফ ও অন্যান্য পাওনাদি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ সময় সরকার সঞ্চিত অর্থসহ অন্যান্য পাওনা আগামী এক মাসের মধ্যে পরিশোধ না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় থাকবে না বলেও জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক মো. ফিরোজ আহাম্মদ চৌধুরী, সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব লিয়াকত আলী খান প্রমুখ।