শেয়ার বিজ ডেস্ক: বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তানে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্ক। ইসলামাবাদের আহবানে সাড়া দিয়ে সহায়তা পাঠালো দেশ দুটি। খবর: এএফপি।
দেশটিতে ব্যাপকভাবে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আসায় গতকাল সোমবার দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোয় ত্রাণ পৌঁছে দেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
দেশটির সরকারের সবশেষ তথ্যমতে, বন্যায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তুরস্কের ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, জরুরি ওষুধ ও শুকনো খাবার। জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করাচিতে নিযুক্ত তুর্কি কনস্যুল জেনারেল সেমাল সানগু এসব ত্রাণসামগ্রী পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী খুররম দস্তগীরকে বুঝিয়ে দেন।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পক্ষ থেকে ভ্রাতৃপ্রতিম পাকিস্তানের জনগণের জন্য শুভেচ্ছা হিসেবে এসব ত্রাণ পাঠানো হয়েছে বলে তুর্কি কূটনীতিক জানান। তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট এরই মধ্যে বন্যাকবলিত বেলুচিস্তানে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও অন্যরা পাকিস্তানের দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করেছে। দেশটির আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দরকার।
গত জুন থেকে বৃষ্টিপাতের কারণে বেলুচিস্তান ও সিন্ধুসহ কয়েকটি প্রদেশ বন্যায় ভাসছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে অনেক ঘরবাড়ি ও সেতু।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৩৩ লাখের বেশি নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শেরি রেহমান একে ‘দানব বৃষ্টি’ বলে অভিহিত করেছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিকে ২০১০ সালের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। সে বছর বন্যায় দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। তখন পাকিস্তানের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা পানির নিচে ডুবে যায়।
সিন্ধু প্রদেশের বেশিরভাগ জমি প্লাবিত হয়েছে। সেখানে বেশ ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বেশিরভাগ জায়গা পানিতে ডুবে থাকায় পাইলটরা অবতরণের জায়গা পাচ্ছেন না। তবে উদ্ধার কার্যক্রম থেমে নেই। এখানকার উন্নত জাতের পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।