শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিতর্কের মুখে অবশেষে জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাতিল করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে প্রবাসী পাকিস্তানিদের ‘আই’-ভোটিংও বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) ক্ষমতা কমিয়ে এনেছে। গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সংসদের নি¤œকক্ষ জাতীয় পরিষদ এসব বিল পাস করার পরদিন গতকাল পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে অনুমোদন করা হয়েছে। এখন চ‚ড়ান্ত আইনে পরিণত হতে হলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়োজন। রাষ্ট্রপ্রতি সম্মতির পর আইনে পরিণত হবে। খবর: ডন।
গতকাল দুপুরে সিনেটের অধিবেশন চলাকালে সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী মুর্তজা জাবেদ আব্বাসি এবং আইনমন্ত্রী আজম নাজির বিল দুটি উপস্থাপন করেন। বিরোধী দলের ‘না, না’ সেøাগান সত্তে¡ও সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি সংশোধিত বিল দুটি অনুমোদন করেন।
এদিকে বিলগুলো এমন সময় সংসদে উত্থাপিত ও অনুমোদিত হলো যখন আগাম নির্বাচন নিয়ে আলোচনার গুঞ্জন এবং পিটিআইপ্রধান ইমরান খানের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য ‘ছয়’ দিন সময় বেঁধে দিয়ে লংমার্চ ঘোষণা দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ‘নির্বাচন (সংশোধন) বিল, ২০২২’ ও ‘এনএবি (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল, ২০২১’ জাতীয় পরিষদে উত্থাপন করে সরকারি দল। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন আইনে সংশোধন আনার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার এবং প্রবাসী পাকিস্তানিদের আই-ভোটিংয়ের মতো পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের আনা বিতর্কিত পরিবর্তনগুলো বাদ দেয়া হলো।
তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী উপনির্বাচনে ইভিএম ও বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য পাইলট প্রকল্প নিতে পারবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। একইভাবে প্রবাসী পাকিস্তানিরা যাতে উপনির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য প্রযুক্তিগত কার্যকারিতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও আর্থিক সম্ভাব্যতার বিষয়টি নিশ্চিত হতে কমিশন পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করতে পারবে।
এদিকে জাতীয় পরিষদে পাস হওয়া বিলে প্রবাসীদের প্রযুক্তির মাধ্যমে নয়, সশরীর ভোটদান এবং পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনগুলোয় ইভিএম ব্যবহার না করার বিধান রাখার সমালোচনা করেছে পিটিআই। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন, ৯০ লাখ প্রবাসী পাকিস্তানিকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলো।
তবে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বঞ্চিত করার অভিযোগকে ‘ভুল তথ্য’ আখ্যা দিয়ে নাকচ করে দিয়েছেন প্রবাসী পাকিস্তানি ও মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সাজিদ হুসাইন তুরি। তিনি বলেন, ‘এটা ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। আমরা প্রবাসীদের জন্য আরও ভালো কিছু করার জন্য কাজ করছি।’ প্রবাসীদের জন্য জাতীয় পরিষদে বিশেষ আসন সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
