ক্রীড়া প্রতিবেদক : পাকিস্তানের এমন নির্বিষ বোলিং শেষ কবে দেখেছে সবাই? বোলিং কোচ মরনে মর্কেল হয়তো নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এমন বাজে বোলিং প্রদর্শন করবে শাহিন শাহ আফ্রিদি-হারিস রউফরা, তা বোধহয় কেউই বিশ্বাস করতে পারছে না। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৫৩ বলে ৬৫ করে দলীয় ১৩০ রানের মাথায় শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে আউট হন। অন্যদিকে ইব্রাহিম জাদরান ১১৩ বলে ৮৭ করে দলীয় ১৯০ রানে হাসান আলির বলে সাজঘরে ফেরত যান। তারপর রহমত শাহ ও অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহিদির জুটিতে একটু একটু করে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় আফগানিস্তান। এতে রহমত শাহ ফিফটি করেন।
তার আগে আব্দুল্লাহ শফিক ও বাবর আজমের হাফ সেঞ্চুরির পর ডেথ ওভারে শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদের ক্যামিও ইনিংসে আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দিয়েছে পাকিস্তান। গতকাল সোমবার ৭ উইকেটে ২৮২ রান করেছে তারা।
পাওয়ার প্লেতে শফিকের সঙ্গে ৫৬ রান তোলেন ইমাম উল হক। ১১তম ওভার শুরু হতেই আব্দুল্লাহ ওমরজাই তাকে ১৭ রানে ফেরান।
শফিকের সঙ্গে বাবর ৫৪ রানের জুটি গড়েন। দল শক্ত ভিত গড়ে তাদের ব্যাটে। ৬০ বলে ফিফটি করা শফিক ৫৮ রানে নুর আহমেদের শিকার। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে আফগান স্পিনার আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। আফগানিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপ অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগার তার। ১০ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন নুর।
রিজওয়ানকে (৮) দুই অঙ্কের ঘরে যেতে দেননি নুর। বাবরকে সঙ্গে নিয়ে সৌদ শাকিলের (২৫) জুটি ৪৩ রানের বেশি হয়নি। ৬৯ বলে ফিফটি করা বাবরকে থামতে হয় ডেথ ওভারের শুরুতে। তাকে থামান নুর। পাকিস্তান অধিনায়ক ৯২ বলে চারটি চার ও এক ছয়ে ৭৪ রান করেন।
ডেথ ওভারে ইফতিখার ও শাদাব ৭৩ রান যোগ করেন। দুজনেই শেষ ওভারে ৪০ রান করে নাভিন উল হকের শিকার হন। শেষ ১০ ওভারে ৯১ রান পাকিস্তানকে নিয়ে যায় স্বস্তিদায়ক অবস্থানে।