শেয়ার বিজ ডেস্ক : রপ্তানি বাড়ায় পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে। ২০২৪ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ২৪ দশমিক ০৯ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৪১০ কোটি ডলার হয়েছে। ২০২৩ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। খবর: জিও নিউজ।
পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত হিসাবে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুনে দেশটির মোট রপ্তানি ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৩০ দশমিক ৬৪৫ বিলিয়ন বা
তিন হাজার ৬০ কোটি ডলার হয়েছে।
এদিকে আমদানি শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে ৫৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার হয়েছে।
জুনে পাকিস্তানি পণ্যের রপ্তানি ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৫২৯ বিলিয়ন বা ২৫০ কোটি ডলার হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে দেশটি ২ দশমিক ৩৫৬ বিলিয়ন বা ২৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ কম চাহিদা, আমদানিতে পদক্ষেপ ও বৈশ্বিকভাবে পণ্যের দাম কমায় মূলত বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে। পণ্যের ক্ষেত্রে বাণিজ্য ঘাটতি কমলে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতিও কমে, যা এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
তবে পাকিস্তানের মোট বাণিজ্য ঘাটতি এখনও তুলনামূলক বেশি। অর্থনৈতিকভাবে সংকটে থাকা পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি সবচেয়ে বেশি চীনের সঙ্গে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দেখছে দেশটি।
পাকিস্তানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এর মূল কারণ ছিল, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি।
পরের দুই অর্থবছরে বাণিজ্যে ঘাটতি কমে যায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশটিতে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল তিন হাজার ১০৮ কোটি ডলার। এরপর ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি আরও কমে দুই হাজার ৩০২ কোটি ডলারে দাঁড়ায়।
দেশটিতে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে বাড়তে থাকে বাণিজ্য ঘাটতি। ওই বছর ঘাটতি ছিল তিন হাজার আট কোটি ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে সেটি সব রেকর্ড ছাড়িয়ে দাঁড়ায় চার হাজার ৮৬৬ কোটি ডলারে, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।