শেয়ার বিজ ডেস্ক:পাকিস্তানের সব দলকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন এবং আরও বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানের সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর ইসলামাবাদে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে তা মহাসচিবের নজরে এসেছে। তিনি পাকিস্তানের সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি। ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনীত কার্যক্রমে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। আইনের শাসন ও শাস্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আমরা সমর্থন করি।
গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) ওয়ারেন্টে পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স তাকে গ্রেপ্তার করে।
পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার এ পদক্ষেপে দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শেহবাজ শরিফের সরকার খাইবার পাখতুনখাওয়া, পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান এবং ইসলামাবাদসহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সেনাবাহিনীকে ডেকেছে।
ইমরান খানের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর কমপক্ষে আটজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া বিক্ষোভ দমাতে পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে এবং এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় এক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইমরান খান ও তার দলের নেতারা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ইমরান খানের সমর্থকদের ‘রাষ্ট্রীয় শত্রু’ অ্যাখ্যা দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।