শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে সহায়তা পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। খবর: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাঠানো সাহায্য গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে মূলত সাম্প্রতিক নানা ইস্যুতে উত্তেজনার কারণে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পরপরই পাকিস্তান সরকার দ্রুত আফগানিস্তানে সাহায্য পাঠানোর পদক্ষেপ নেয়। এমনকি পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার প্রয়োজনীয় সাহায্যের পাশাপাশি ত্রাণ ও উদ্ধার দল পাঠানোর মাধ্যমে দ্রুত সহায়তার প্রস্তাব দেন। তবে পাকিস্তানের এই সহায়তা নিতে অস্বীকার করে কাবুল। যার ফলে পাকিস্তানের সাহায্যের চালান এবং উদ্ধারকারীদের আফগানিস্তানে পাঠানো হয়নি। এ বিষয়ে যদিও উভয় দেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি, তারপরও দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আফগানিস্তানের সহায়তা প্রত্যাখ্যানের প্রধান কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত শনিবার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পর পাঁচটি বড় ধরনের আফটারশক হয়েছে; যার কেন্দ্রস্থল ছিল ওই অঞ্চলের বৃহত্তম শহরের কাছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, আঘাত হানা প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩, ৫ দশমিক ৯ ও ৪ দশমিক ৬ মাত্রার পাঁচটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, হেরাত প্রদেশের রাজধানী হেরাত শহরে ১৯ লাখ মানুষের বসবাস। হেরাতের পূর্বাঞ্চলে ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ইরানের সঙ্গে। এই শহরটিকে আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে মনে করা হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সাড়ে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পে দুই দেশে অন্তত ১৩ জন নিহত হন। হিন্দুকুশ পর্বতমালা ও ইউরেশীয়-ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থান হওয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান।