শেয়ার বিজ ডেস্ক: ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের মুদ্রা রুপির মান আরও কমেছে। গতকাল বুধবার দেশটির আন্তঃব্যাংক বাজারে ১ ডলার বিক্রি হয়েছে ২৩৭ রুপিতে। এছাড়া ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছে দেশটি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি ইউনিটের দাম ২৪ দশমিক ৮০ রুপি বাড়ানো হয়েছে। খবর: ডন।
পাকিস্তানের ফরেক্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার একলাফে চার রুপি বেড়েছে ডলারের দাম। মঙ্গলবার ২৩২ দশমিক ৯৩ রুপিতে বিক্রি হয় এক ডলার। ফরেক্স জানায়, রুপির বাজার স্থিতিশীল রাখতে এখন ডলার সরবরাহ বাড়ানো দরকার। সংস্থাটির চেয়ারম্যান মালিক বোস্তান বলেন, আমদানিকারকদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমদানিকারকরা সময়মতো দেশের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার। আর রপ্তানিকারকরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রুপির বিনিময় হার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ সংকট কাটাতে রপ্তানিকারকদের অর্থপ্রাপ্তির পর অবিলম্বে তা ডলার থেকে রুপিতে রূপান্তর নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়া আফগানিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে রুপি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তার দাবি, এতে বিদেশি লেনদেনে দুই হাজার কোটি ডলার বাঁচানো যাবে।
এদিকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য ডাকা হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। মন্ত্রিসভা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ছাড়পত্র দিয়েছে। পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী খুরাম দাস্তগির জানন, বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা করতে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই বৃদ্ধি শুধু বিত্তশালী পরিবারের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা ভাবিয়ে তুলছে দেশটির অর্থনীতিবিদদের। লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, গত মাসে মূল্যস্ফীতি বাড়ে ২১ দশমিক ৩ শতাংশ। কম-বেশি সব খাদ্যপণ্যের দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। দেশটির রিজার্ভ কমতে শুরু করেছে। রিজার্ভ মাত্র ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ দিয়ে ৪৫ দিনের তেল কিনতে পারবে দেশটি। তাই জ্বালানি সংকট থেকে বাঁচতে ইসলামাবাদ তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তেল আমদানি করতে হবে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে দেউলিয়াত্বের মতো সংকটে পড়তে পারে পাকিস্তান।