শেয়ার বিজ ডেস্ক;পাকিস্তানে একটি কয়লাখনির মালিকানা নিয়ে দুই উপজাতি গোত্রের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার দারা আদম খেল জেলায় এ ঘটনা ঘটে। খবর: এপি।
খাইবার পাখতুনখোয়ার সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। দারা আদম খেল জেলার পুলিশ কর্মকর্তা মুনাওয়ার খান জানান, পাক-আফগান সীমান্তবর্তী এ জেলায় ২০১৯ সালে একটি কয়লাখনি আবিষ্কৃত হয়। শুরু থেকেই দারা আদম খেলের দুই প্রভাবশালী উপজাতি গোত্র সুন্নি খেল ও জারঘুন খেল এ খনির একক মালিকানা দাবি করে আসছে। এই দাবিতে দুই গোত্রের মধ্যে শত্রুতার শুরুও ওই বছরে।
মুনাওয়ার আরও বলেন, এই দ্বন্দ্বের জেরে গতকাল সকালের দিকে খনির সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষ বাঁধে সুন্নি খেল এবং জারঘুন খেলের যোদ্ধাদের মধ্যে। যোদ্ধাদের সবার হাতে অ্যাসল্ট রাইফেল এবং পিস্তল-রিভলবার জাতীয় ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি-সংঘর্ষ চলার পর অবশেষে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আহতদের ফেলে রাখার পর সুন্নি খেল ও জারঘুন খেলের যোদ্ধারা পালিয়ে যান। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে উসকানিদাতাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পাকিস্তানের কয়লাখনিগুলোর বেশিরভাগই খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে অবস্থিত। সরকারি মালিকানার পাশাপাশি বেসরকারি মালিকানাও স্বীকৃত এসব খনির ক্ষেত্রে। কয়েক লাখ শ্রমিক এসব খনিতে কাজ করেন।
খাইবার পাখতুনখোয়ার পাহাড়ি এলাকা মূলত বিভিন্ন উপজাতীয় গোত্র অধ্যুষিত এলাকা। এসব গোত্রের প্রায় সবই পাঠান উপজাতির বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার। একসময় এসব গোত্র পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকলেও গত কয়েক দশক ধরে তা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। তার ওপর কয়লাখনি বা এ ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকানা নিয়ে গোত্র বা গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বেশ বিরল বর্তমান পাকিস্তানে।