শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানে চলমান বন্যাকে সর্বোচ্চ স্তরের স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর: ডন।
ইতিহাসের ভয়াবহতম বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। এ দুর্যোগে দেশটিতে ইতোমধ্যে ১১শ’র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ। এ পরিপ্রেক্ষিতে ডব্লিউএইচও এমন ঘোষণা দিল। এছাড়া ডব্লিউএইচও আহতদের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহ ও রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার জন্য জরুরি তহবিল (সিএফই) থেকে ১ কোটি মার্কিন ডলার ছাড় করেছে।
গত বুধবার এক ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ গ্রেডিং সিস্টেমে পাকিস্তানের বন্যাকে তৃতীয় গ্রেডের জরুরি অবস্থা হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের তালিকায় এটাই সর্বোচ্চ স্তর, যার অর্থ সংস্থার তিনটি স্তরই এখন এ দুর্যোগ মোকাবিলার সঙ্গে জড়িত। এ তিনটি স্তর হচ্ছেÑদেশ, আঞ্চলিক অফিস ও সদর দপ্তর।
টেড্রোস বলেন, কয়েক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। ফলে প্রাণহানি, বাস্তুচ্যুত ও অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং প্রায় ৯০০টি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের তিন-চতুর্থাংশ জেলা ও ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬০ লাখের বেশি মানুষের জরুরিভাবে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য অবকাঠামোর ক্ষতি, চিকিৎসকের ঘাটতি ও সীমিত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত করছে। ফলে শিশু, গর্ভবতী নারী ও সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন এমন মায়েরা বাড়তি ঝুঁকিতে পড়েছেন।
সংস্থার মতে, পাকিস্তান ইতোমধ্যে কভিড, কলেরা, টাইফয়েড, হাম, লেশম্যানিয়াসিস, এইডস ও পোলিওসহ স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়া ডায়রিয়া, ত্বকের সংক্রমণ, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও আরও অনেক নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।