পাকিস্তানে বিদেশি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৩৮ শতাংশ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চরম আর্থিক সংকটে জর্জর পাকিস্তানের বিদেশি ঋণের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির বর্তমান বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২০ দশমিক ৬৯ ট্রিলিয়ন রুপি (পাকিস্তানের মুদ্রা)। খবর: মিন্ট।

দিন দিন পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দেশটির সরকারের দেয়া সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ নাগাদ বৈদেশিক ঋণ ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সাম্প্রতিক সময় মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের স্থানীয় মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়নের ঘটনাকে ঋণ বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় ইউনিট গ্রিনব্যাক ৫১ শতাংশ হ্রাস রেকর্ড করেছে, কারণ ২০২৩ সালের জানুয়ারি শেষে এক ডলারের বিনিময় ২৮৫ দশমিক ৯৪ পাকিস্তানি রুপি হয়েছে, যা ২০২২ সালের জানুয়ারি শেষে ১৭৬ দশমিক ৭৪ রুপি ছিল।

গত জানুয়ারি শেষে পাকিস্তান সরকারের সামগ্রিক ঋণ ৫৪ দশমিক ৯৪ ট্রিলিয়ন রুপিতে পৌঁছেছে। অপরদিকে একই সময় দেশীয় ঋণ ৩৪ দশমিক ২৬ ট্রিলিয়ন রুপিতে দাঁড়িয়েছে। যদিও দেশটির দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ২৭ দশমিক ৫১ ট্রিলিয়ন রুপি বেড়েছে।

সম্প্রতি পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফে) সঙ্গে একটি চুক্তি করার জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাদের বিদেশি অর্থায়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে। গত বছর জুনের শেষ নাগাদ দেশটি তার ক্রমহ্রাসমান বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন (১০ হাজার কোটি) ডলার করার পরিকল্পনা আইএমএফকে জানিয়েছিল। তবে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে। ১৯৯৮ সালের পর এখন সর্বনি¤œ স্তরে নেমে এসেছে রিজার্ভ।

এ পরিস্থতিতে পাকিস্তান আইএমএফের কাছে অর্থ সহায়তা চেয়েছে। এ নিয়ে কথাবার্তাও শুরু হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেই আলোচনা ‘ঝুলে যাওয়ায়’ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ অর্থের ছাড় এখনও হয়নি। পাকিস্তানের জন্য নতুন করে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে চীনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক (আইসিবিসি)। এ ঋণ তিন কিস্তিতে পাকিস্তানে আসবে, যার প্রথম কিস্তির ৫০ কোটি ডলার এরই মধ্যে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পেয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০