শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রায় ৩৬ কোটি ডলারের পতন ঘটেছে। এতে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে (৯৭০ কোটি ডলার)। খবর: ব্ল–মবার্গ।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এ পতন ঘটে। এছাড়া অর্থনৈতিক সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশটির জ্বালানির দাম বেড়ে চলছে। রাজনৈতিক টানাপড়েনের পর নতুন সরকার গঠন করেন শাহবাজ শরিফ। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে একাধিক উদ্যোগ নেন তিনি। তবে বাস্তবে এর প্রতিফলন খুব একটা চোখে পড়েনি বলে জানান বিশ্লেষকরা। বরং রিজার্ভ পতন, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্য।
পাকিস্তানে গত কয়েক দিনে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩০ টাকার বেশি। ভোজ্যতেলের দাম এক লাফে লিটারপ্রতি ২১৩ রুপি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এতে ভোজ্যতেলের সরকার-নির্ধারিত দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০৫ রুপিতে। আর ঘিয়ের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০৮ রুপি। ফলে প্রতি কেজি ঘিয়ের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৫৫ রুপিতে।
রিজার্ভ প্রসঙ্গে ব্ল–মবার্গ জানায়, গত আগস্টের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এ কারণে দুই মাসের কম সময়ের জন্য আমদানি পরিশোধে কম অর্থ অবশিষ্ট রয়েছে। তাই দেশটিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের এমন ধারবাহিক পতনে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নিশ্চিত না করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তবে আইএমএফ থেকে এখন পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়নি। তবু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নতুন প্রশাসন। বিশেষ করে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পেতে আইএমএফের দেয়া একাধিক শর্ত পূরণের চেষ্টা করছে দেশটি। এতে রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো।