শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনওয়ার রাজধানি পেশোয়ারে একটি শিয়া মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৮০ জন। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আর বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল জুমার নামাজ চলাকালে আত্মঘাতী এ বিস্ফোরণ হয়। তবে প্রাথমিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। খবর: ডন, বিবিসি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, পেশোয়ারের কোচা রিসালদার এলাকার ওই মসজিদটিতে জুমার নামাজ চলার সময় এ বিস্ফোরণ হয়।
পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাদেশিক রাজধানী শাখা ক্যাপিটাল সিটি পুলিশের (সিসিপি) পেশোয়ার শাখার মুখপাত্র ইজাজ আহসান জানিয়েছেন, মসজিদটিতে পুলিশের নিরাপত্তা ছিল। শুক্রবারও প্রধান ফটকের বাইরে দুই পুলিশ নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
জুমার নামাজ শুরু হওয়ার পর মসজিদের ফটকের সামনে দুই বন্দুকধারী এসে নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ করে গুলি ছুড়লে তাদের একজন নিহত হন, অপরজন গুরুতরভাবে আহত হন। গুলি ছোড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটে।
এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ কি না, তা এখনও নিশ্চত হওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছেন ইজাজ আহসান। এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী হামলার দায়ও স্বীকার করেনি।
সিসিপি পেশোয়ার শাখার পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াহিদ খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে নিকটস্থ লেডি রিডিং হাসপাতালে নেয়ার পর।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াহেদ খান জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিরা মসজিদে জড়ো হচ্ছিলেন। ঠিক এই সময় হামলা হয়।
শায়ান হায়দার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করছিলাম। ঠিক এই সময় বিস্ফোরণ হয়। আমি ছিটকে মসজিদের সামনের রাস্তায় গিয়ে পড়ি। চোখ খুলে দেখি আমার চারপাশে লাশ আর লাশ।’
পুলিশ কর্মকর্তা ইজাজ আহসান একজন জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩০ জন নিহত এবং আরও ৮০ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওয়াহিদ খান ও লেডি রিডিং হাসপাতালের মিডিয়া ম্যানেজার আসিম খান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পাশপাশি আহতদের সুচিকিৎসার জন্য নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
