শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রেসিডেন্ট ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের অভিযোগে তার কয়েকশ সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর নিন্দা জানিয়ে হরতালের ডাক দিয়েছেন ইমরান খানের সমর্থকরা। গত বুধবার দেশটির কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে পারমাণবিক শক্তিধর দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গতকাল ধর্মঘট চলাকালে সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সমর্থকরা। পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতারা ঘোষণা করেছেন, গ্রেপ্তার হওয়ার দুই দিন আগে ইমরান দেশব্যাপী জনসভা করার যে সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিলেন তা অপরিবর্তিত থাকবে।
তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পিটিআই-এর কর্মী-সমর্থকরা দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করে। ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। এসব বিক্ষোভ-সহিংসতা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ১ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের বিভিন্ন নগরীতে নিরাপত্তা বাহিনীকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। দেশজুড়ে মোবাইল ডেটা পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। টুইটার, ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারেও বিঘœ ঘটছে বলে ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেছেন।
পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের মধ্যে তিনটির কর্তৃপক্ষ জরুরি এক আদেশে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
ইমরান খানের গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ্ মাহমুদ কুরেইশির আহ্বানে পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও ব্যাপক প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণার উদ্দেশ্যে দলটির জরুরি কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পিটিআইয়ের মহাসচিব আসাদ উমর জানান, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তারের পর কুরেশির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের কমিটি পার্টির কর্মসূচির পরিকল্পনা ঘোষণা করবে। ইমরান এ কমিটি গঠন করেছেন। উমর বলেন, সারা বিশ্বকে দেখানো হচ্ছে, দেশে কোনো আইন নেই।
ইমরান খানের সমর্থনে দেশবাসীকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে কুরেশি বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ইমরানকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আপনাদের সাংবিধানিক অধিকার, এটি বজায় রাখুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আপনাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য অজুহাত খুঁজছে তারা, আপনাদের চাপে রাখার অজুহাত খুঁজছে, তাদের সে সুযোগ দেবেন না।