শেয়ার বিজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এক পূর্বাভাসে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করেছে। খবর: ডন।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এর আগের পূর্বাভাসে পাকিস্তানে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলেছিল আইএমএফ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে পূর্বাভাসটি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে সংস্থাটি।
পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি ধারণার চেয়ে বেশি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইএমএফ। সংস্থাটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি ২৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়ে প্রায় ৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় বেশি।
বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পাকিস্তানের জিডিপির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের পর নিজেদের পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে আইএমএফ। ওই দু’টি সংস্থার মতো ওয়াশিংটনভিত্তিক এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চলমান অর্থবছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় থমকে থাকবে।
তবে আগামী অর্থবছরে দেশটির অর্থনীতির চাকা কিছুটা সচল হতে পারে। ২০২৪ সালে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। তখন মূল্যস্ফীতি ২২ শতাংশে নেমে আসতে পারে এবং বেকারত্বের হার কিছুটা কমে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মতে চলতি বছর দেশটির মূল্যস্ফীতি যথাক্রমে ২৯ দশমিক ৫ ও ২৭ দশমকি ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তান আইএমএফের দেয়া কঠিন শর্তে রাজি হলে মূল্যস্ফীতির হার ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশে উঠে যাবে। তখন ডলারের দাম যেখানে কয়েক মাস আগেও ২০০ ছিল সেটি ৩০০ রুপির কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
এ কারণে স্বাভাবিকভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম আকাশচুম্বী হবে, তাতে পেট্রোলসহ জ্বালানি যেগুলোর ওপর অর্থনীতি নির্ভরশীল সেগুলোর দামও বাড়বে। অত্যন্ত জরুরি যে আমদানি, তাও যথেষ্ট ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।
এদিকে সংস্থাটির মতে, উচ্চ সুদের হার বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে মন্থর করে দিতে পারে। একই সঙ্গে অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্বকে মন্দার কাছাকাছি পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।