শেয়ার বিজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার থেকে পুনরায় রাজধানী অভিমুখে লংমার্চ করার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে বন্দুকধারীর হামলায় ইমরানসহ কয়েকজন নেতা আহত হওয়ার ঘটনায় লংমার্চ থেমে যায়। খবর: আল জাজিরা।
গত রোববার লাহোরের শওকত খানম হাসপাতাল থেকে ভিডিও বার্তায় এ মন্তব্য করেন ইমরান খান। হামলায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলে।
ইমরান বলেন, ওয়াজিরাবাদের যেখানে আমি ও অপর ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছি, যেখানে মোয়াজ্জেম শহিদ হয়েছেন,
মঙ্গলবার সেখান থেকে আমাদের যাত্রা পুনরায় শুরু হবে।
৭০ বছর বয়সী ইমরান জানিয়েছেন, তিনি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় লংমার্চে যোগ দেবেন না। কিন্তু লংমার্চ রাওয়ালপিন্ডি পৌঁছালে তিনি হাজির হবেন।
গত বৃহস্পতিবার লং মার্চে হামলার ঘটনায় ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জড়িত বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন তিনি।
সেনাবাহিনী কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তার এ বক্তব্য ‘ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছে সামরিক বাহিনী।
গত শুক্রবার হাসপাতাল থেকে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে ইমরান খান দাবি করেন, তাকে হত্যা পরিকল্পনার বিষয়টি আগেই তিনি জানতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, আমার লংমার্চে জনসমাগম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় তিন ব্যক্তি আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। তারা হলেন শাহবাজ শরিফ, রানা সানাউল্লাহ ও সেনাবাহিনীর একজন মেজর।
এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
চালিয়ে যাবেন।
এদিকে ইমরান খানের ওপর হামলা নিয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান। সেখানে তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর হওয়া হামলা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার পাশাপাশি একে ‘নাটক’ বলেন।
পিটিআই নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশি লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের কর্মীদের এবং দেশকে বার্তা দিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ লংমার্চ চলবে।
ইমরানও জানিয়েছেন, আমার লংমার্চ যে কোনো পরিস্থিতিতে লক্ষ্য অর্জন করবে। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ নেয়ার পরই কেবল তারা ফিরে যাবে।