নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই সপ্তাহ আগে নতুন ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। এর আওতায় বাংলাদেশসহ ১২৬টি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই দেশটিতে যেতে পারবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমদ মারুফ।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাক হাইকমিশনার।
সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে বন্যা পুনর্বাসন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, ভিসাপ্রাপ্তি সহজীকরণ, সরাসরি প্লেনের ফ্লাইট চালু, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা হাইকমশিনারকে স্বাগত জানান। তিনি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যার বিষয়ে তাকে অবহিত করেন। হাইকমিশনার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বন্যাদুর্গতদের জন্য উপকরণ দিয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পাকিস্তানে পড়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, তখন অনেক পাকিস্তানি নাগরিক বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ-উৎসব করেছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাক হাইকমিশনারকে জানান, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে রাখা এই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানও একই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বলে দুজনই ঐকমত্য প্রকাশ করেন। বিগত ১৫ বছরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে শুষ্কতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তার উত্তরণ ঘটিয়ে পারস্পরিক সম্পক জোরদারের আহ্বান জানান পাক হাইকমিশনার। তাছাড়া দুই পক্ষ পারস্পরিক ভিসা সহজীকরণের বিষয়ে সম্মত হন।
এ সময় হাইকমিশনার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান নতুন ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশসহ ১২৬টি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে যাতায়াত করতে পারবে।
পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে আবার সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন পাক হাইকমিশনার।
তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু ছিল, যা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) অপারেট করত। বৈঠকে মানবপাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাস দমন ও কৃষি গবেষণা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সাক্ষাতে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের কাউন্সিলর কামরান ধাঙ্গাল ও জাইন আজিজসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।