শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দায়ে সন্দেহভাজন ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। খবর: জিও টিভি।
অনাস্থা ভোটে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিদায়ের পর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে ‘অপপ্রচারের বিষয়ে’ সামরিক
বাহিনীর ৭৯তম ফরমেশন কমান্ডারস কনফারেন্সে আলোচনা হয়েছে। গত মঙ্গলবার এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।
দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মানহানি এবং সামরিক বাহিনী ও জনগণের মধ্যে বিভাজন তৈরিতে কিছু গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক অপপ্রচারের বিষয়টি সম্মেলনে নোট আকারে নেয়া হয়েছে।
আইএসপিআর বলছে, পেশাগত বিষয়াদি, জাতীয় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং প্রথাগত ও অপ্রথাগত হুমকি প্রতিরোধে নেয়া পদক্ষেপের বিষয়ে সম্মেলনে অবহিত করা হয়। উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাহিনীগুলোর আভিযানিক প্রস্তুতি ও পাল্টা ব্যবস্থার ধরন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন সেনাপ্রধান।
জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি ‘অলঙ্ঘনীয়’ বলে জানায় দেশটির সামরিক বাহিনী। এই বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা জানায়, কোনো ধরনের ছাড় না দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো মূল্যে সংবিধান ও আইনের শাসন বহাল রাখতে নেতৃত্বের সুচিন্তিত অবস্থানের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা জানিয়েছে ফোরাম।
গত রোববার থেকে টুইটারে টপ ট্রেন্ডিং ছিল সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগ ও নতুন সরকারের সমালোচনা করে দেয়া হ্যাশট্যাগ। এসব হ্যাশট্যাগ ব্যবহারকারীর টুইট গত মঙ্গলবার ৪৩ লাখে গিয়ে দাঁড়ায়।
সূত্র জানায়, মূল হোতাসহ সন্দেহভাজন সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই নেটওয়ার্কের বাকি সাতজনকে সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী শাখা আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেনি এফআইএ। তবে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা আসাদ উমর বলেন, দলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকটিভিস্টদের হয়রানির বিরুদ্ধে আদালতে যাবে পিটিআই।