পাখি ও প্রকৃতি বাঁচাতে তিন দিনে চার জেলা বাইসাইকেল চালিয়ে ভ্রমণ করেছেন আলমগীর হোসেন। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতা মধুপুর ইউনিয়নের সেকেন্দার আলীর ছেলে তিনি। ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর তিন দিনে নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় ভ্রমণ করেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল পাখি বাঁচাও, প্রকৃতি বাঁচাও।
পিঠে লাল-সবুজের পতাকা, গলায় হ্যান্ডমাইক ঝোলানো। গায়ে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত
টি-শার্ট, হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট। এ নিয়ে বাইসাইকেলে চেপে সৈয়দপুর হতে তেঁতুলিয়ায় ক্যাম্পিং করেছেন তিনি।
ওই সময় আলমগীর হোসেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও হাট-বাজারে যাত্রাবিরতি করে আলোচনা সভা ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি পাখি ও প্রকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পাখি বাঁচাও, প্রকৃতি বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহিম, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল, সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, বোদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানিউল ফেরদৌস।
যাত্রার প্রথম দিন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কুমার সরকার ভ্রমণের উদ্বোধন করেন। ওইদিন তিনি সাইকেল চালিয়ে সৈয়দপুর হতে ঠাকুরগাঁও সদরে পৌঁছান। পথে রাবেয়া, চম্পাতলী, রানীরবন্দর, বেকুপুল বাজার, ভূষিরবন্দর, দশমাইল ও ঠাকুরগাঁও সদরে বেশ কয়েকটি পথসভা করেন।
ক্যাম্পিংয়ের দ্বিতীয় দিন ঠাকুরগাঁও হতে সাইকেল চালিয়ে পঞ্চগড় যাওয়ার পথে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন চত্বর, চিনিকল বাজার, শহীদ মিনার চত্বর, কান্তজির মন্দির বাজার ও তেঁতুলিয়া বাজারে পথসভা করেন।
তৃতীয় ও শেষ দিন পঞ্চগড় হতে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে যাওয়ার পথে স্থানীয় একদল স্বেচ্ছাসেবক তার সঙ্গী হন। তারা একত্রে পথচারীদের মাঝে সচেতনতামূলক কয়েক হাজার লিফলেট বিতরণ করেন। বিকালে বাংলাবান্দা জিরো পয়েন্ট পৌঁছালে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজিয়া সুলতানা এ সাইকেলযাত্রার সমাপনী ঘোষণা করেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, পাখি ও প্রকৃতি সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য চাই প্রচার-প্রচারণা। ভবিষ্যতে পাখি ও প্রকৃতি বাঁচানোর আহ্বান জানাতে সাইকেল চালিয়ে গোটা দেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা আছে তার।
২০১৩ সালে পাখি সুরক্ষা ও পাখির নিরাপদ আবাসন গড়ে দিতে আলমগীর ‘সেতুবন্ধন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। নীলফামারীর সৈয়দপুরজুড়ে গাছে গাছে মাটির কলস লাগিয়ে দিয়েছেন। তার লাগানো কলসে পাখিরা বসবাস করে। এরই ফলস্বরূপ ইতোমধ্যে পাখি সংরক্ষণ সম্মাননা-২০১৬ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আলমগীর হোসেন।
তৈয়ব আলী সরকার, নীলফামারী
