Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 6:20 pm

পাঞ্জাব ব্যাংকের শেয়ারে দরপতন

শেয়ার বিজ ডেস্ক : ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের (পিএনবি) এক শাখাতেই ১১ হাজার ৩৩৩ কোটি রুপি জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। পিএনবির মুম্বাই শাখার কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে কয়েকটি কোম্পানি এ জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ। জালিয়াতির খবর জানাজানি হওয়ার পর ব্যাংকটির শেয়ারমূল্য পড়ে গেছে। খবর এনডিটিভি।

জালিয়াতির এ পরিমাণ পিএনবির বাজারমূল্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এবং গত বছরের শেষ তিন মাসের লাভের ৫০ গুণ।

জালিয়াতির খবর জানাজানি হওয়ার পর প্রথম দিন এর শেয়ারদর ১০ শতাংশেরও বেশি পড়ে গেছে। দ্বিতীয় দিন শেষে শেয়ারদর পড়েছে ২০ শতাংশের বেশি।

এ জালিয়াতির জন্যে অভিযুক্ত করা হয়েছে হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদিকে। নীরব মোদি, তার স্ত্রী, ভাই, মামার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ জানান হয়েছে নীরব মোদির অলঙ্কার সংস্থার বিরুদ্ধেও। নিয়ম ভেঙে বিরাট অঙ্কের ঋণের গ্যারান্টি হাতিয়ে নেয় নীরবের সংস্থা ফায়ারস্টার ডায়মন্ড। সেই নথি দেখিয়ে ভারতীয় ব্যাঙ্কের বিদেশের শাখা থেকে ঋণ নেয় সে।

আর্থিক অপরাধ দমনে নিয়োজিত সরকারি সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট ভারতের ব্যাংক খাতে সংঘটিত সবচেয়ে বড় এ জালিয়াতির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

প্রতারণামূলক লেনদেনের মাধ্যমে প্রভাবশালী কয়েকজন গ্রাহক উপকৃত হয়েছেন বলে দাবি ব্যাংকটির। এই প্রতারণা অন্য ব্যাংকগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে এবং ব্যাংকিং খাত সাধারণের আস্থা হারাতে পারে বলেও আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৯ জানুয়ারি পিএনবি মুম্বাই শাখার এক কর্মকর্তা তিন কোম্পানি ও চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে এ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। চার ব্যক্তির মধ্যে নিরভ ছাড়াও রতœ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান গীতাঞ্জলি জেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহুল চোকসিও আছে। জালিয়াতির সঙ্গে ব্যাংকের দুই কর্মচারী জড়িত ছিলেন বলেও জানায় পিএনবি।

গত বুধবার আর্থিক লেনদেন-সংক্রান্ত এক তথ্যে ব্যাংকটি জানায়, মুম্বাই শাখায় জালিয়াতিও অনুমোদিত নয়, এমন লেনদেনের অঙ্ক প্রায় ১৭৭ কোটি ডলার। জালিয়াতির এ পরিমাণ ভারতের ব্যাংক খাতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরিশোধিত ঋণের ভারে এমনিতেই জর্জরিত ভারতের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্যও জালিয়াতির ঘটনা নতুন সংকটের দ্বার উšে§াচন করবে, টেনে ধরবে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির অগ্রগতির লাগাম।

রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর দায় পরিশোধে অতি সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার সহায়তারও ঘোষণা দিয়েছে।