পাট খাতে আগ্রহ বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি ছিল পাট খাতে। ফলে এ খাতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে। অন্যদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন আইটি খাতে। এ কারণে খাতটিতে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল। ফলে আলোচ্য খাতটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে দুই শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের সবগুলোর দর বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। খাতটিতে শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ড, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, জীবন বিমা, প্রকৌশল ও আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় আইটি খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। শেয়ারদর কমায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাত। খাতটিতে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সাধারণ বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩১ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। সাত শতাংশ লেনদেন হওয়া আইটি খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্যমতে, বুধবার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩০২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ৭৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৮৪ পয়েন্টে। ডিএসইর

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক দশমিক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৪০ পয়েন্টে।

এদিন ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের সাত কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৭টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ৪২২ কোটি ৩০ লাখ চার হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫০ কোটি এক লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের শেয়ার। এরপর ছিল খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্টার্ন হাউজিং, রয়েল টিউলিপ সী পার্ল, ফু-ওয়াং ফুড, ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স, বিডি কম এবং অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড।

আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮০ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৩টির, কমেছে ৬১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টি।

দিন শেষে সিএসইতে ৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৫ টাকার শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০