নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল নাম মাত্র উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল পতন বেশি হয়েছে পাট খাতের শেয়ারে। এর আগের? দুই কার্যদিবস খাতটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল। এদিকে গতকাল সূচকের সামান্য উত্থানে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে উঠে এসেছে সিরামিক খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দিক থেকে গতকাল দ্বিতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত। গতকাল শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল বস্ত্র এবং ওষুধ ও রসায়ন খাত।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা সিরামিক খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১টি কোম্পানির এবং বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে গতকাল দর বেড়েছে দশমিক ৯০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২টির শেয়ারদর বেড়েছে এবং বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
গতকাল দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতে দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। আলোচ্য খাতে গতকাল ৫৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং একটি ছাড়া বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দশমিক ৩০ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে গতকাল চতুর্থ স্থানে ছিল ওষুধ খাতের শেয়ার। খাতটিতে গতকাল মোট ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ৪টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
এদিকে গতকাল শেয়ারদর বেশি কমেছে পাট খাতে। এ খাতে গতকাল ১ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর কমেছে দশমিক ৯০ শতাংশ। দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৭১ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৭৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৮৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২১২ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে।
ডিএসইতে গতকাল ৬১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবস থেকে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৫৬৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। গতকাল ডিএসইতে ৩৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪৫টির বা ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ৪৯টির বা ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশের এবং ২৫৯টির বা ৭৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯.১৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৭ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩০টির আর ১২৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে গতকাল ৪৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।