গ্রীষ্মকালীন ছোট সবজি কাঁকরোল, তবে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফলিক অ্যাসিড, ফসফরাস, আঁশ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লুটেইন, ক্যারোটিন, আমিষ, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’, শ্বেতসার, খনিজ পদার্থ প্রভৃতি। কাঁকরোলে ক্যালোরির উপস্থিতি কম।
গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁকরোলে
টমেটোর চেয়ে ৭০ গুণ বেশি লাইকোপিন রয়েছে। গাজরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি বিটা ক্যারোটিন থাকে। কমলার চেয়ে ৪০ গুণ বেশি ভিটামিন সি ও ভুট্টার চেয়ে ৪০ গুণ বেশি জিয়াজেন্থিন রয়েছে।
# হজমে সহায়তা করে কাঁকরোল
# শ্বাসকষ্টে ভুগলে ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম কাঁকরোলের শেকড় বাটার সঙ্গে এক চা চামচ আদার রস ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খান। আরাম পাবেন
# কিডনিতে পাথর হলে ১০ গ্রাম কাঁকরোল বাটা এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে খান। কয়েক দিন পান করার পরে দ্রুত সেরে উঠবেন
# এতে রয়েছে উদ্ভিজ্জ ইনসুলিন, যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
# অনেক গর্ভবতীর স্নায়বিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় কোষের গঠন ও নতুন কোষ তৈরিতে কাঁকরোল সাহায্য করে
# ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগকেও দূরে সরিয়ে রাখতে পারে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে
# কাঁকরোলের বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন ও লিউটেইন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না, ত্বককে করে তারুণ্যদীপ্ত
# কাঁকরোলের ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়
# উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল কমায়। তাই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন
# নিয়মিত খেতে পারেন কাঁকরোল। তাহলে অ্যানেমিয়া প্রতিহত করা যাবে
# হƒদযন্ত্র ভালো রেখে সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করে
# মেদ-ভুঁড়ি কমাতে চাইলে কাঁকরোল খেতে পারেন তরকারির পাশাপাশি ভেজে ও ভর্তা করে খাওয়া যায় কাঁকরোল। নিরামিষভোজীদের অন্যতম প্রিয় সবজি এটি।