নিজস্ব প্রতিবেদক: যুগ্ম কমিশনার লুৎফুল কবিরকে বরখাস্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে আজ (সোমবার) সন্ধ্যার মধ্যে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচির দেওয়া হবে বলে বিক্ষোভ থেকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর সামনে এ বিক্ষোভ করা হয়। বাংলাদেশ কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট এক্সিকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএভ), ঢাকা-রাজশাহী-রংপুর, কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট এগজিকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এর ব্যানারে কয়েকশ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তা বিক্ষোভে অংশ নেন।
রাজস্ব ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। বাকাএভের আহ্বায়ক খন্দকার লুৎফুল আজম, সদস্য সচিব মো. মজিবুর রহমান, ঢাকাএভ এর সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, যুগ্ম কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) লুৎফুল কবির পানগাঁও কাস্টম হাউসে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ করে আসছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সম্প্রতি হাউসের নামাজের কক্ষ বন্ধ করে দেন। নামাজ আদায়কারীদের নাস্তিক সম্বোধন করাসহ আপত্তিকর ভাষায় গালাগাল করেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিয়েছেন। একইসঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে গুম এবং বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে হয়রানি করার হুমকি দিয়েছেন।
তারা আরো বলেন, ‘২৫ নভেম্বর বুধবার বেলা ২টায় হাউসের শুল্কায়ন গ্রুপ-৪ এবং কায়িক পরীক্ষণ গ্রুপ-৩-এর সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের ডেকে তার কক্ষে নিয়ে একটি নথিতে রাজস্ব কর্মকর্তা ভবেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে দিয়ে জোর করে সই নেওয়ার চেষ্টা করেন। ভবেশ চন্দ্র বিশ্বাস সই করতে অপারগতা প্রকাশ করলে যুগ্ম কমিশনার প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে ওই রাজস্ব কর্মকর্তাকে মারধর করেন, যা শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ ও সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বক্তারা আজ সোমবারের মধ্যেই যুগ্ম কমিশনার মো. লুৎফুল কবিরের বরখাস্তসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। অন্যথায় সাময়িক কর্মবিরতিসহ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তারা।
###