শেয়ার বিজ ডেস্ক : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোয় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ফেনীতে। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব জেলায় বন্যায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানান, ১১ জেলায় মোট ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৯ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৯, মারা গেছেন ১৫ জন?Ñপুরুষ ১৩ জন ও নারী দুজন। মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে চারজন, নোয়াখালীতে একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন রয়েছেন। পানিবন্দি লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট তিন হাজার ১৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় মোট এক লাখ ১৫ হাজার ৩০ জন এবং ১৮ হাজার ৯৬টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য মোট ৬৩৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে। এদিকে এ মুহূর্তে আরও ভারী বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির শঙ্কা রয়েছে। ঠিক এ পরিস্থিতিতে বৃষ্টি নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস। আজ শনিবার থেকে আবারও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, শনিবার থেকে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও কক্সবাজারসহ সারা দেশে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আবারও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এতে তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, মৌসুমি বায়ু ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবেই সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে ১৫১ মিলিমিটার। অন্যদিকে বন্যার কারণে বিদ্যুতের বেশ কয়েকটি উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়েছে। বেশ কয়েকটি উপকেন্দ্র আছে ঝুঁকিতে। উপকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তাজনিত কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পিডিবি তাদের অধীন বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। এতে ১০টি জেলার বেশিরভাগ গ্রাহক এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে।
বন্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবির নতুন চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বন্যার কারণে পিডিবির কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি উপকেন্দ্রে পানি উঠেছে। সেখানে ট্রান্সমিটার পানি স্পর্শ করেছে। ঝুঁকি এড়াতে ওই উপকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গড়ে আমাদের ২০ হাজারের মতো গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে।
তিনি আরও বলেন, এখনও খুব বেশি এলাকা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আমরা প্রস্তুত আছি। বন্যার কারণে পিডিবির আওতাধীন আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফটিকছড়ি, রাউজান ও হাটহাজারীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, হালদা নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙন ও ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ওঠায় উপজেলাগুলোর অধিকাংশ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর পানির তীব্রতা আরও বাড়ে। এখনও কার্যত পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। গতকাল শুক্রবার বিকালেও এসব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন যানবাহন আটকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঢাকামুখী লেন ব্যবহার করতে না পারায় উদ্ধারকাজেও বিঘ্ন ঘটছে।
জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, ধুম ও ইছাখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দিনান্তের মধ্যে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে গেলেও বাড়িঘর ফেলে যাননি অসংখ্য মানুষ। পরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে এসব এলাকায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় উদ্ধারকাজে নানা বিঘ্ন ঘটছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফটিকছড়ি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ধুরং ও হালদা নদীতে পানির চাপ বাড়ায় কয়েকটি স্থানে ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ। ঘরবাড়িতে হাঁটু থেকে কোমর পরিমাণ পানি উঠেছে।
ফটিকছড়ির ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক জানান, তার ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিম ধর্মপুরে প্রায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে। সড়কেও হাঁটুপানি জমে রয়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, উপজেলার কমবেশি সব এলাকা প্লাবিত। প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে। এলাকার বেশ কিছু মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া রাউজানের পশ্চিম নোয়াপাড়া, পালোয়ান পাড়া, মোকামীপাড়া, সাম মাহালদারপাড়া, ছামিদর কোয়াং, কচুখাইন, দক্ষিণ নোয়াপাড়া, মইশকরম, সওদাগরপাড়া, সুজারপাড়া, পূর্ব উরকিরচর, খলিফার ঘোনা, বৈইজ্জাখালি, বাগোয়ান, পশ্চিম গুজরা, গহিরা, নোয়াজিশপুর, চিকদাইর, ডাবুয়াসহ কয়েকটি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে বোট নিয়ে এসব এলাকায় উদ্ধার কাজ চালায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা। তারা এসময় শুকনো খাবারেরও ব্যবস্থা করেন।
কুমিল্লা: ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে ভেঙে পড়েছে কুমিল্লার গোমতী নদীর বাঁধ। এতে নদীর আশপাশের অন্তত ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন লাখো মানুষ। এদের মধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিলেও অনেকেই সেখানে ঠাঁই না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে ভেঙে পড়া গোমতীর বাঁধ এলাকা জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় এ দৃশ্য দেখা গেছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, বাঁধের ওপর খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয়া এসব মানুষের কেউ কেউ সড়কের পাশে শুয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ, গর্ভবতী নারীসহ অনেক শিশু রয়েছেন। স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়েই আশ্রয় নিয়েছেন এসব মানুষ। অনেকেই অটোরিকশাকে ঘরের মতো বানিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। কেউ কেউ শামিয়ানা টাঙিয়ে খাট পেতেছেন সড়কে।
বাঁধ ভাঙার বিষয়টি আগে থেকে কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলেন কেউ কেউ। ঘরের দামি আসবাবপত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল সরিয়ে বাঁধের ওপর নিয়ে আসতে পেরেছিলেন সেসব মানুষ। যেসব পরিবারে পুরুষ ছিল না, সেসব পরিবারের নারীরা কোনোরকম জীবন বাঁচিয়ে বাঁধে ওঠেন সন্তানদের নিয়ে। ওইসব পরিবারের সবকিছুই তলিয়ে গেছে পানিতে। খোলা আকাশের নিচে এক বুক দীর্ঘশ্বাসই এখন তাদের সম্বল।
খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিলেও এসব মানুষের কাছে পৌঁছায়নি কোনো ত্রাণ সহায়তা। শুকনো খাবার আর বিশুদ্ধ পানির সংকট পোহাচ্ছেন তারা। কয়েকটি সামাজিক সংগঠন ত্রাণ সহায়তা দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন তারা।
রাস্তায় আশ্রয় নেয়া আশরাফুল ইসলাম বলেন, কল্পনাও করতে পারিনি, আমাদের জীবনে এত দুর্বিষহ দিন আসবে। রাত ১১টার পর বাঁধভাঙা নিয়ে হইচই পড়ে। তখন সামনে যা পেয়েছি নিয়ে বাঁধে উঠেছি। ঘরবাড়ি সব তলিয়ে গেছে পানিতে।
নূরুন নাহার নামের এক বানভাসি বলেন, আমাদের আগে জানালে আমরা মালপত্র ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দূরে চলে যেতাম। এখন এমন এক বিপদে পড়লাম, না আছে এ কূল, না আছে ও কূল।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয়া মানুষদের সহায়তা করা হবে। তালিকা করা হচ্ছে।
বরিশাল: ভারতের জলাধারের বাঁধ খুলে দেয়ায় হু-হু করে পানি বাড়ছে বরিশাল বিভাগের সব নদ-নদীর। সেই সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে শহর-উপশহর জলাবদ্ধ হয়ে জনজীবনে বেড়েছে ভোগান্তি। নদ-নদীর সব পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে বন্যার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা নেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার ৪২টি উপজেলায় টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্বাভাবিক কাজকর্মে কেউ বের হতে পারছেন না। স্কুলকলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও শ্রমিকরা দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বাসিন্দা শোভন কর্মকার বলেন, তিন দিন ধরে আমাদের বসতঘর প্লাবিত। একটু একটু করে পানি বাড়ছে। গুরু-ছাগল সব ঘরে এনে নিজেদের বিছানার কাছে বেধে রেখেছি। ফেনী-লক্ষ্মীপুরে যে অবস্থা হয়েছে, তেমন হলে যেন অন্তত অবলা প্রাণীদের বাঁচাতে পারি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জল অনুসন্ধান প্রতিবেদন বলছে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর ১২টি পয়েন্টে সব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর মধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি গতকাল বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজকে বিপৎসীমার সমানে প্রবাহিত হচ্ছে। বিষখালী নদীর পানি ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার, আমতলী উপজেলা পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলায় মেঘনা নদীর দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ৮৭ সেন্টিমিটার, ভোলা সদর উপজেলার খেয়াঘাট পয়েন্টে তেঁতুলিয়া নদী তিন সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর সদর উপজেলার বলেশ্বর নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।