পাপুয়া নিউগিনিকে ৮৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আর বিশাল এই জয়ের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ’ এ উন্নীত হলো মাহমুদউল্লাহর দল।
বিশ্বকাপের মূল পর্বে যেতে হলে ডু-ডাই এই ম্যাচে জিততেই হতো মাহমুদউল্লাহদের। হারলেও সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে যেত না, তবে তাকিয়ে থাকতে হতো অন্যদের দিকে। পড়তে হতো জটিল সমীকরণের ফাঁদে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অত হিসাব নিকাশের ফাঁদে পড়তে হলো না সাকিব–মুশফিকদের।
ওমানের রাজধানী মাস্কাটের আল আমেরাতে বৃহস্পতিবারের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও টসে জেতেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮১ রান করে বাংলাদেশ।
যদিও খেলার শুরুতেই ঝাঁকুনির সামনে পড়ে বাংলাদেশ! নাঈম দ্বিতীয় বলেই আউট হন কোনো রান না করেই। এরপর দারুণ ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান জুটি বাঁধেন লিটন দাশের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৫০ রানের জুটি। ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন লিটন।
আজকেও তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান মুশফিক। ৪ নম্বরে নেমে ৮ বলে ৫ রান করেন তিনি। মুশফিকের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংস টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিব। তিনি আউট হওয়ার পর অবশ্য বাংলাদেশের ইনিংসের পরেরটা মাহমুদউল্লাহময়। চার–ছক্কায় জমিয়ে তোলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিন চার ও তিন ছক্কায় মাত্র ২৭ বলেই পৌঁছে যান ফিফটিতে। তবে ফিফটির পরই নাটকীয়ভাবে ফিরতে হয় মাহমুদউল্লাহকে। এরপর আফিফ, সাইফউদ্দিনের ব্যাটে ভর দিয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ১৮১ রানে। শেষ দশ ওভারে ১১০ রান তুলে বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংসটাও করে ফেলে।
১৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে গিয়ে পাপুয়া নিউগিনি শুরু থেকেই ছিল বিপথে। সাকিব–সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৯ রানেই ৭ উইকেট হারায় আসাদ ভালার দল। এরপরও যে পাপুয়া নিউগিনি ৯৭ রানে পৌঁছল তার পেছনে বড় অবদান উইকেটকিপার ব্যাটার কিপলিনের ৪৬ রান।