শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনিতে রিখটার স্কেলের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। গতকাল শনিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে। খবর: রয়টার্স।
ইউএসজিএস বলছে, পাপুয়া নিউ গিনির ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। দেশটির মাদাং শহর থেকে প্রায় ৫৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৩ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
এদিকে আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইউএসজিএস বলছে, গতকাল সকালের দিকে এই ভূমিকম্পের পর চারটি বড় ধরনের আফটারশক হয়েছে, যার কেন্দ্রস্থল ছিল ওই অঞ্চলের বৃহত্তম শহরের কাছে। ইউএসজিএসের তথ্য বলছে, আফগানিস্তানে শনিবার আঘাত হানা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩ ও ৫ দশমিক ৯ মাত্রার চারটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার সময় প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময় শহরের স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানিরা ভবন ছেড়ে রাস্তায় পালিয়ে যান। এরই মধ্যে ১৪ জন মারা গিয়েছেন, আহত হয়েছে ৭৮ জন।
ইউএসজিএসের প্রাথমিক তথ্য বলছে, আফগানিস্তানে এই ভূমিকম্পে শত মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হতাহত ও ব্যাপক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আঞ্চলিক বা জাতীয় পর্যায়ে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে তালিবান প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে ইউএসজিএস জানায়, আফগানিস্তানে আঘাত হানা প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার গভীরে।
