পাবনার ক্ষতিগ্রস্ত পোলট্রি খামারিরা পাননি প্রণোদনা

তানভীর ইসলাম, পাবনা: কভিড-১৯-এর কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বস্তরে লকডাউন পালন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে সচেতনতা অবলম্বনে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্বস্তরের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে প্রণোদনার আওতায় আনার চেষ্টা করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় পাবনার সুজানগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীন মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক পোলট্রি খামারিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দুটি ধাপে প্রণোদনাস্বরূপ নগদ অর্থ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে জানা গেছে, সুজানগরের বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত খামারি পাননি প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের নগদ অর্থ।

এ বিষয়ে সুজানগরের পোলট্রি ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে দুইবার ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রণোদনা ফর্ম পূরণ করায়। ফর্ম পূরণের সময় নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর, মোবাইল ফোন নম্বর ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে যায় তারা। চার মাস অতিবাহিত হলেও প্রণোদনার দ্বিতীয় পর্বের টাকাও তার ভাগ্যে জোটেনি।

ভুক্তভোগী আজিমের তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, লকডাউনে প্রণোদনা ফর্ম আরও পূরণ করছিলেন স্থানীয় পোলট্রি খামারি শাহিন, মহিবুল বিশ্বাস, রবিউল, সোহাগ, লালু। তারা কেউই প্রণোদনার অর্থ পাননি। এ তালিকায় রয়েছেন মুরাদ, নাছির, আনোয়ার মাস্টার, রহমান, চয়ন, ফরিদ, মতিন প্রমুখ।

সুজানগর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, প্রণোদনা ফর্মে খামারিদের সংগৃহীত তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে খামারিদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। প্রণোদনা ফর্মে যারা ভুল তথ্য দিয়েছেন তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়নি।

সুজানগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, প্রণোদনার প্রথম ধাপে ১২৩৮ জন খামারির আবেদনের মধ্য দিয়ে ১১৯৩ জন খামারি প্রণোদনার অর্থ বুঝে পান। দ্বিতীয় ধাপে ২৮৬ জন খামারি প্রণোদনা ফর্ম পূরণ করে ২৭৬ জনের টাকা তাদের নিজ বিকাশ নম্বরে পৌঁছে যায়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০