Print Date & Time : 1 July 2025 Tuesday 1:37 am

পাবনায় অবৈধ টোল আদায়ের প্রতিবাদে অটোরিকশা ধর্মঘট

শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, পাবনা: পাবনার চাটমোহর ও আটঘরিয়া পৌরসভায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টোল আদায়ের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন শুরু করেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতি। গত বুধবার থেকে হঠাৎ করেই এ ধর্মঘট শুরু হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
অটোরিকশা চালকরা জানান, পয়লা বৈশাখ থেকে চাটমোহর পৌরসভাসহ আশেপাশের বিভিন্ন পৌরসভার নামে তাদের নিয়োগকৃত লোক সিএনজিচালিত অটোরিকশাপ্রতি ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। এর আগে টোল আদায় হলেও সিএনজি মালিক-শ্রমিক সমিতি অবৈধ টোল আদায়ের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়। পরে টোল আদায় বন্ধ হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু পয়লা বৈশাখ থেকে আবারও চাটমোহরসহ বিভিন্ন পৌরসভায় টোল আদায় শুরু হলে ধর্মঘটের ডাক দেয় সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক যৌথ সমিতি। এদিকে ধর্মঘট চলায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। অটোবাইক, অটোভ্যানে বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। কারণ বাস সংকটে ও দ্রুত যাতায়াতে যাত্রীদের অন্যতম ভরসা এখন সিএনজি অটোরিকশা। সে কারণে দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টেক্সিক্যাব/অটোরিকশা যৌথ মালিক সমিতির সভাপতি আব্বাস আলী জানান, চাটমোহর ও আটঘরিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে চালকদের কাছ থেকে। চাঁদা না দেওয়ায় চালকদের অনেক সময় মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদে পাবনা থেকে ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর রুটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাচল বন্ধ করে দিয়েছেন চালক ও শ্রমিকরা।
জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মিশুক শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, পাবনায় ১০টি পৌরসভা। একদিনে একজন চালক সব পৌরসভার মধ্যে যদি গাড়ি চালাতে যান, তাহলে তাকে ১০০ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এভাবে হলে চালক-শ্রমিকরা চলবেন কী করে। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ওইসব এলাকায় অবৈধ চাঁদা বন্ধ না করা পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর পৌরসভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। পৌরসভার আয় বৃদ্ধির জন্য নিয়মনীতি মেনে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইজারা দিয়ে সরকারের রাজস্ব খাতে টাকা জমা করা হয়। যারা ইজারা নিয়েছেন, হয়তো তারা এ টাকা উত্তোলন করছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে যাত্রীদুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আটঘরিয়া পৌরসভায় টোল আদায় বন্ধ করা হয়েছে। চাটমোহর পৌরসভার বিষয়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি সেখানেও টোল আদায় বন্ধ হবে এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু হবে।