পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যয় কমানোর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট ব্যয় ও বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনার (এপিপি) নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইজিসি)। এছাড়া বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এপিএ সফটওয়্যারে আপলোড করারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দ দেয়া বাজেট সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য সরকারের অনুশাসন পালনে বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত এক সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

ইউজিসি’র অর্থ ও হিসাব বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলম, বাজেট শাখার উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রার, হিসাব বিভাগীয় প্রধান ও প্রকৌশল দপ্তরের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।

সভায় অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেট বাস্তবায়ন বিষয়ে সরকারি নিয়মাচার ও বিভিন্ন সময় জারি করা সরকারি পরিপত্র, আদেশ সবাইকে প্রতিপালন করতে হবে। ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি এসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।’

সভায় জানানো হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, অন্যান্য মনোহারি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। পেট্রোল, ওয়েল, লুব্রিকেন্ট, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ অর্থের ২৫ শতাংশ সাশ্রয় করতে হবে।

এছাড়া উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সব ধরনের প্রকল্প, কর্মসূচি, স্কিমগুলোর ক্ষেত্রে সম্মানি খাতে বরাদ্দ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি), প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি), বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি), বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি) এবং বিভাগীয় বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (ডিএসপিইসি) সভায় সম্মানি বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করা যাবে না। সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। উল্লিখিত খাতগুলোর অব্যয়িত অর্থ অন্য কোনো খাতে স্থানান্তর বা পুনঃউপযোজন করা যাবে না।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০