নিজস্ব প্রতিবেদক: বেশ কয়েক দিন ধরে বাড়তে থাকা চিনির দাম কমিয়ে তিন স্তরে নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। একইভাবে কমানো হয়েছে পাম সুপার তেলের দরও। এতে এ দুটি পণ্যের দাম কিছুটা কমে এসেছে। বেঁধে দেয়া নতুন দর অনুযায়ী খুচরায় চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা ও পাম তেলের দাম লিটারে ১২ টাকার মতো কমেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য শাখা দাম নির্ধারণ করে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যা আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী, পাম সুপার তেল প্রতি লিটার খুচরায় সর্বোচ্চ ১৩৩ টাকায় বিক্রি হবে; যা এতদিন ১৪৫ টাকায় নির্ধারিত ছিল। মিল গেটে পাম তেল প্রতি লিটার ১২৮ টাকা ও পরিবেশক পর্যায়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
একইভাবে পরিশোধিত খোলা চিনি প্রতি কেজি ৮৪ টাকা ও প্যাকেট চিনি প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৮৯ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে বর্তমানে খোলা চিনি ৯০ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিল গেটে খোলা চিনি প্রতি কেজি ৭৯ টাকা ও পরিবেশক পর্যায়ে ৮১ টাকা নির্ধারণ
করা হয়েছে। একইভাবে প্যাকেটজাত চিনি মিলগেটে ৮২ টাকা ও পরিবেশক পর্যায়ে ৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার ‘দ্য কন্ট্রোল অব অ্যাসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬’-এর ক্ষমতাবলে মিল গেট, পরিবেশক ও সর্বোচ্চ পর্যায়ে তেল চিনির দাম নির্ধারণ করল। এর আগে বিভিন্ন সময় তেল ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ বাজার বিশ্লেষণ করে চিনি ও পাম তেলের দাম কমিয়ে ঠিক করে দেয়া হলো।
চাল, লবণসহ অত্যাবশ্যকীয় অন্তত ৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেয়া হবে বলে চলতি মাসের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে আইনি জটিলতার কারণে অনেক পণ্যের দাম বেঁধে দেয়া কঠিন বলে সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন।