শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে ন্যাটোর প্রভাব বাড়লে তা পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল এত দিন। তবে দেশটিতে চলা অভিযানে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে জানায় রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ। খবর: সিএনএন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকিতে পড়লে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, ইউক্রেনে নয়।
পেসকভ বলেন, ইউক্রেনে অভিযানে যা-ই ঘটুক, তাতে এমন কিছু হবে না, যাতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। আমাদের একটি নীতিমালা রয়েছে, যেখানে খুব স্পষ্টভাবে বলা আছে, একমাত্র তখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে, যখন আমাদের দেশের অস্তিত্ব হুমকিতে পড়বে এবং তখনই আমরা আসলে হুমকি দূর করতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করব।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কটাক্ষকে খুবই আশঙ্কাজনক বলে মন্তব্য করেন পেসকভ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা গ্রহণযোগ্য না। রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নয়। গত শনিবার পোল্যান্ডে এক ভাষণে বাইডেন বলেন, ঈশ্বরের দোহাই, এ লোকটি (পুতিন) আর ক্ষমতায় থাকতে পারেন না। এর আগে পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী ও কসাই বলেছিলেন তিনি। তবে তার লিখিত ভাষণে এ কথাগুলো ছিল না। তাই এমন বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
তবে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয়, রুশ বাহিনী ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করেছে। এজন্য নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও (আইসিসি) রাশিয়ার এই সামরিক অভিযান নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া রুশ বাহিনী উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইউক্রেনের বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীরা জানান, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি হাসপাতালেও গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ও অস্বীকার করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র।
