শেয়ার বিজ ডেস্কঃ হাঙ্গেরির পাকস পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তাদের চুল্লি শীতল করতে দানিউব নদীর একটি অংশ থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে থাকে। দেশটির সরকার নদীর ওই অংশের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মাত্রায় ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত চুল্লি শীতলে ব্যবহার করতে না দেয়ার পরিকল্পনা করছে। খবর: রয়টার্স।
হাঙ্গেরির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, প্লান্টের চারটি চুল্লি শীতল করার জন্য দানিউবের পানি ব্যবহার করে এবং নদীর তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সেই পানি শীতল করার কাজে গ্রহণ করা যায় না।
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই প্লান্টের উৎপাদন কমিয়ে ফেলতে হবে এবং নদীর তাপমাত্রা নির্দিষ্ট সীমার নিচে শীতল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার পরিস্থিতি গ্রীষ্মে নির্দিষ্ট তাপসীমায় পৌঁছাতে পারে, বিশেষ করে নিম্ন জলস্তরে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুসারে, নদীর এই তাপসীমাটি বজায় রাখবে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এটি অনিবার্য হলে জ্বালানি মন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে প্লান্টের অপারেটরকে কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে এটি অতিক্রম করে কাজ চালানোর অনুমতি দেবে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকস বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কমলে অভ্যন্তরীণ গ্রাহকদের জ্বালানি সরবরাহকে সরাসরি হুমকিতে ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিবেশগত দিকটি বিবেচনার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যদি এটি অনিবার্য হয় তবে কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে তাপসীমার মান অতিক্রম করা ন্যায়সঙ্গত হতে পারে।
পাকস প্লান্টে চারটি রাশিয়ান-নির্মিত ভিভিইয়ার ৪৪০ চুল্লি রয়েছে, যার সম্মিলিত ক্ষমতা প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট। এই চুল্লিগুলো ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে চালু হয় এবং ২০৩২ থেকে ২০৩৭ সালের মধ্যে বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার সহযোগিতায় হাঙ্গেরি অবশ্য প্ল্যানটি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।