শেয়ার বিজ ডেস্ক: তিনটি ব্রিটিশ কোম্পানিকে পারমাণবিক-চালিত অ্যাটাক সাবমেরিন তৈরির কাজ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ৪৯০ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় কোম্পানিগুলো এই সাবমেরিনের নকশা ও উৎপাদন করবে। খবর: আল জাজিরা।
অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় সাবমেরিন চুক্তির (অকাস) আওতায় এসব সাবমেরিন তৈরি করা হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, বিএই সিস্টেমস, রোলস-রয়েস ও ব্যবকক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিটি যুক্তরাজ্য ও ত্রিপক্ষীয় অকাস কর্মসূচির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এসএসএন-আকুস সাবমেরিন হিসেবে পরিচিত নতুন ডুবোযানগুলো হবে রয়্যাল নেভি পরিচালিত বৃহত্তম, সবচেয়ে আধুনিক এবং শক্তিশালী।
এসব সাবমেরিনের প্রথম ২০৩০-এর দশকের শেষ দিকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় মোতায়েন করা হতে পারে ২০৪০-এর দশকের শুরুর দিকে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অন্তত পাঁচটি পারমাণবিক শক্তিচালিত ভার্জিনিয়া শ্রেণির সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।
গত মার্চে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা এসএসএন-অকাস সাবমেরিন পরিকল্পনা উšে§াচন করেন। এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলার উদ্যোগ হিসেবে দেশ তিনটি ত্রিপক্ষীয় অকাস চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। ২০২১ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক সাবমেরিনের ত্রিপক্ষীয় অকাস চুক্তি সই করেছিল দেশগুলো। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে এ চুক্তি করে তারা। আজকের আলোচনায় চুক্তি অনুযায়ী দেশ তিনটির পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ হবে। অকাস চুক্তি অনুযায়ী, দেশ তিনটি পারমাণবিক সাবমেরিন অর্জনে সহায়তা করবে অস্ট্রেলিয়াকে। সঙ্গত কারণে ওই প্রতিরক্ষা চুক্তি চীনের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
অকাস জোটের প্রশংসা করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, বৈশ্বিক অস্থিতিশীল সময়ে এ ধরনের জোটগুলো আমাদের শক্তি এবং নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় উৎস।
ধারণা করা হচ্ছে, এ পদক্ষেপের ফলে মন্থর গতিতে চলতে থাকা ব্রিটেনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি আরও বাড়বে।